বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ওরা আমাকে হত্যা করতে চায়: কাদের মির্জা

  •    
  • ১৩ মার্চ, ২০২১ ১৫:০৮

সংবাদ সম্মেলনে কাদের মির্জা বলেন, ‘এমপি নিজাম ও একরাম চৌধুরীর অস্ত্র আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার হচ্ছে। তারপরে গতকাল রাতে একরাম চৌধুরীর বাড়িতে নিজাম হাজারী আর একরাম চৌধুরীর নির্দেশে আমাকে হত্যা করার জন্য সেখানে বৈঠক করে। আমার এখানে আবারও হামলা করার তারা একটা প্রক্রিয়া করতেছে।’

বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, তাকে হত্যা করতে চায় এমপি নিজাম হাজারী, একরাম চৌধুরী এবং তাদের অনুসারীরা। এ ব্যাপারে একটি বৈঠকের খবরও পেয়েছেন তিনি।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বসুরহাট পৌরসভা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তোলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই।

কাদের মির্জা বলেন, ‘এমপি নিজাম ও একরাম চৌধুরীর অস্ত্র আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার হচ্ছে। তারপরে গতকাল রাতে একরাম চৌধুরীর বাড়িতে নিজাম হাজারী আর একরাম চৌধুরীর নির্দেশে আমাকে হত্যা করার জন্য সেখানে বৈঠক করে। আমার এখানে আবারও হামলা করার তারা একটা প্রক্রিয়া করতেছে।’

পৌর নির্বাচনের সময় থেকে নিজ দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কাদের মির্জার নানা মন্তব্যে গত কয়েক মাস ধরে নোয়াখালীর রাজনীতি উত্তপ্ত। শুরুতে কারও নাম উল্লেখ না করলেও পরে মির্জা কাদের জানান, তার এসব বক্তব্য নোয়াখালী আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে।

পরে স্পষ্ট হয়ে ওঠে এমপি নিজাম ও একরাম চৌধুরীর সঙ্গে কাদের মির্জার বিরোধ। এসবের মধ্যে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এই দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত হন বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির নামে স্থানীয় এক সংবাদিক।

সাংবাদিক হত্যা ও দলের মধ্যে চলমান উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে ২৪ জানুয়ারি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ।

এসব পদক্ষেপে কাদের মির্জা ও তার বিরোধী গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা কমেনি, বরং বেড়েছে। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার বসুরহাট পৌরসভা চত্বরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত হন মো. আলাউদ্দিন নামে যুবলীগের এক কর্মী। এতে গুলিবিদ্ধ হন অন্তত ১৩ জন।

কাদের মির্জার দাবি, এসব ঘটনার দায় তার ওপর চাপাতে চেষ্টা করছে প্রতিপক্ষরা। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার আবেদন, আপনি দলীয়ভাবে এখানে জেলা কমিটিকে তদন্তভার দিয়েছেন। এদের তো কমিটিটাও অনুমোদন হয়নি। এরা একপেশে। তারা তো একটা সন্ত্রাসীদের মদত দিচ্ছে। তাদের থেকে সঠিক তথ্য দল পাবে না।’

তদন্তভার তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও নোয়াখালী অঞ্চলের নেতা সুজিত রায় নন্দীর মতো নেতাদের হাতে দেয়ার দাবি জানিয়ে কাদের মির্জা বলেন, ‘ওনাদের তদন্তে আমি দোষী সাব্যস্ত হই। আমার দলের নেতা-কর্মী দোষী সাব্যস্ত হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক।

‘এ ছাড়া ঘটে যাওয়া সকল ঘটনার জন্য ঢাকা থেকে বিচার বিভাগীয় তদন্তের ব্যবস্থা করতে হবে। যদি নোয়াখালী থেকে করে তাহলে প্রভাবিত হবে। আর না হলে এনএসআই, ডিজিএফআই আছে তাদেরকে দিয়ে তদন্ত করে যদি আমি এবং আমার অনুসারী যারা আছে অপরাধারের সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে আমার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।’

কাদের মির্জা জানান, অন্যায়ের বিরুদ্ধে তার মুখ কিছুতেই বন্ধ হবে না। ‘সত্য’ বলেই যাবেন।

‘যতক্ষণ আমার এক ফোঁটা রক্ত আছে, আমি এখান থেকে সরব না। আমি এটাতে আছি। আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলব। আমি সাহস করে সত্য কথা বলব। আমি অন্যায়-অবিচার জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করব। এটা কার বিপক্ষে যায়, কার বিরুদ্ধে যায়, এটা আমার জানার বিষয় নয়।’

বসুরহাট পৌর মেয়র আরও বলেন, ‘গতকাল থেকে আবার নতুন করে আমার অনুসারী নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, হামলা, গ্রেপ্তার হচ্ছে। সারা রাত আমার প্রত্যেক নেতা-কর্মীর বাড়িতে পুলিশ ও সরকারি প্রশাসনের বিভিন্ন লোকজন হামলা করছে। অনেক পরিবারকেও লাঞ্ছিত করা হচ্ছে।

‘আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি না। আমি আল্লাহর ওপর নির্ভরশীল। তবে আমার অনুসারী নেতা-কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছে।’

এ বিভাগের আরো খবর