বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নোয়াখালীতে ভাগাভাগির লড়াই: জিএম কাদের

  •    
  • ১০ মার্চ, ২০২১ ১৭:৫৯

জিএম কাদের বলেন, ‘নোয়াখালীর বসুরহাটে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গেল রাতেও একজন খুন হয়েছে। প্রায় ৩০ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। তাদের দল একটাই, নেতাও একজনই। শুধু ভাগাভাগির কারণেই তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব। দেশের মানুষ এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চায়। জাতীয় পার্টি দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে রাজনীতি করছে।’

‘ভাগাভাগির কারণেই’ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষে লড়াই চলছে বলে মনে করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। বুধবার রাজধানীর বনানীতে এক মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

জিএম কাদের বলেন, ‘নোয়াখালীর বসুরহাটে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গেল রাতেও একজন খুন হয়েছে। প্রায় ৩০ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। তাদের দল একটাই, নেতাও একজনই। শুধু ভাগাভাগির কারণেই তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব। দেশের মানুষ এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চায়। জাতীয় পার্টি দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে রাজনীতি করছে।’

বসুরহাট পৌরসভা চত্বরে মঙ্গলবার রাতে পৌর মেয়র কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মির্জা কাদের ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলিতে একজন নিহত হন।

গোলাগুলির সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই মির্জা কাদের পৌরসভা কার্যালয়েই ছিলেন বলে জানা গেছে। এর আগে পৌর শহরে দফায় দফায় তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই দুই পক্ষের সংঘর্ষেই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বনানীতে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে উপদেষ্টা ও দলের ভাইস চেয়ারম্যানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছিলেন।

তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি কোনো জোটে নেই। নির্বাচনে কিছু আসনে ইলেকশন অ্যারেজমেন্ট হয়েছিল। কিন্তু বেশির ভাগ আসনেই আমাদের প্রার্থীরা লড়াই করেছে। নির্বাচনের পর থেকে আমরা বিরোধী দলের ভূমিকায় আছি। আমরা দেশ ও মানুষের কল্যাণে কথা বলবই। আমরা আমাদের রাজনীতি নিয়ে এগিয়ে যাব।’

আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কোনো দলই জাতীয় পার্টিকে ছাড় দেয়নি অভিযোগ করে জিএম কাদের বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে জাতীয় পার্টিকে লাঠিপেটা করেছে আর আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে ভেঙে দুর্বল করেছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে গণতন্ত্রের মূলে কুঠারাঘাত করেছে। দুর্নীতি, লুটপাট আর বৈষম্য সৃষ্টি করে দেশের সুশাসন ধ্বংস করেছে দুটি দল।’

দেশ ও দেশের মানুষকে আওয়ামী লীগ-বিএনপির হাত থেকে বাঁচাতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ’৯১ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সংবিধান সংশোধন করে সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। যারা ক্ষমতায় যাচ্ছে তারা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দলবাজি ও টেন্ডারবাজি করে আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে। দেশের হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে।

যারা ক্ষমতায় থাকে তারা আইনের ঊর্ধ্বে থেকে দুর্নীতি করে। সরকারদলীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো আইন নেই, আইন শুধু বিরোধীদের জন্য প্রয়োগ হচ্ছে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের হাত থেকে রাষ্ট্রক্ষমতা বিএনপির হাতে গেলে শুধু কালেক্টর পরিবর্তন হবে। টাকার অঙ্ক বাড়বে কিন্তু জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন হবে না। ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য দেশের জনগণ জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায়। তাই দলকে সুসংহত করতে হবে।’

সভায় জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, ‘সরকারি দলের জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতারাও লুটপাটের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা পাচার করছে। দেশের মানুষ পরিত্রাণ চায়, আমরাই দেশের মানুষকে মুক্তি দেব। তাই সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে হবে।’

সভায় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা, দলীয় চেয়ারম্যানের বিশেষ সহকারী ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর