বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৭৫ নিয়ে বক্তব্য: বিএনপি নেতা মিনুর দুঃখ প্রকাশ

  •    
  • ৭ মার্চ, ২০২১ ১৯:০৩

২ মার্চ রাজশাহীর বিভাগীয় সমাবেশে দেয়া ওই বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে পরদিন ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয় নগর আওয়ামী লীগ। শনিবার সেই আল্টিমেটাম শেষ হয়। রোববার সকালে ৭ মার্চের আলোচনা সভায় বিষয়টি ওঠে। সিদ্ধান্ত হয় তার বিরুদ্ধে মামলা করার। এর কয়েক ঘণ্টা পর বিবৃতি দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন মিনু।

বিভাগীয় সমাবেশে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টকে ইঙ্গিত করে দেয়া বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু।

২ মার্চ রাজশাহীর বিভাগীয় সমাবেশে দেয়া ওই বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে পরদিন ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয় নগর আওয়ামী লীগ। শনিবার সেই আল্টিমেটাম শেষ হয়। রোববার সকালে ৭ মার্চের আলোচনা সভায় বিষয়টি ওঠে। সিদ্ধান্ত হয় তার বিরুদ্ধে মামলা করার। এর কয়েক ঘণ্টা পর বিবৃতি দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন মিনু।

মিনুর পক্ষে রাজশাহী নগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক নাজমুল হক ডিকেন ই-মেইলে বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন।

মিনু বিবৃতি পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন; তবে বিবৃতির বাইরে কিছু বলতে চাননি।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভোট জালিয়াতির প্রতিবাদ, নতুন নির্বাচন কমিশন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্গঠনের দাবি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশে আসতে বাধা, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ ছিল। আমার বক্তব্যের জন্য যারা ব্যথিত হয়েছেন, মর্মাহত হয়েছেন, আমি তাদের নিকট দুঃখ প্রকাশ করছি।’

বলা হয়, ‘২ মার্চ সমাবেশ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন যেভাবে সর্বসাধারণকে সমাবেশে আসতে বাধা দিয়েছে তা নজিরবিহীন। সকল যানবাহন, এমনকি খাবার দোকান বন্ধ ছিল, যা ইতিপূর্বে রাজশাহীতে ঘটেনি এবং নেতা-কর্মীদের নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে।’

বিবৃতিতে মিনু বলেন, ‘আমি এই মহানগরীতে জন্মগ্রহণ করে দীর্ঘদিন রাজশাহীবাসীকে নিয়ে রাজনৈতিক নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছি। স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ সকল আন্দোলনে পাশে পেয়েছি। সুতরাং কোনো ব্যক্তিবিশেষ বা গোষ্ঠীবিশেষকে উদ্দেশ্য করে আক্রোশমূলক বক্তব্য প্রদান করা আমার স্বভাববহির্ভূত। তাই সকলকে আমার বক্তব্যে ষড়যন্ত্র না খোঁজার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।’

রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠের পাশে বিএনপির ওই বিভাগীয় সমাবেশ হয়। সমাবেশে মিনু তার বক্তব্যের একপর্যায়ে বলেন, ‘আমাদের নেত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, রাজপথে থেকে দেশনেত্রী হয়েছেন। তাকে বের করে আনব, মুক্তি চাই না হাসিনা... রেডি হও। আজ সন্ধ্যার সময়…, কালকে সকাল তোমার নাও হতে পারে। মনে নাই ৭৫ সাল? ৭৫ সাল মনে নাই?’

তার এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে নগর আওয়ামী লীগ। পরদিনই সাহেববাজার এলাকায় বিক্ষোভ-সমাবেশ করে দলটি। সেই সমাবেশ থেকে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন মিনুকে। লিটন ঘোষণা দেন, এই সময়ের মধ্যে মিনু ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা এক প্রতিবাদলিপিতে মিনুর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবেই দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।

শনিবার সন্ধ্যায় ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম পার হলেও মিনু ক্ষমা না চাওয়ায় রোববার সকালে মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ৭ মার্চের আলোচনা সভাতেও বিষয়টি ওঠে।

সভায় সোমবারই আদালতে মামলা করার এবং ৯ মার্চ রাজশাহীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত হয়। এ সভার পর দুপুরে দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দেন মিনু।

সভা শেষে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, ‘আমরা বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনুর বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আইনজীবীদের বলা হয়েছে, কোন কোন ধারায় মামলা করা যায় তা জানাতে।’

মিনুর দুঃখ প্রকাশের পর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হচ্ছে কি না জানতে চাইলে ডাবলু সরকার বলেন, ‘সেটা আবার আলোচনার বিষয়। আমরা আবার একটু আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাব।’

এ বিভাগের আরো খবর