সাইবার অপরাধ দমনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দরকার আছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
রাজধানীর বনানীতে নিজ কার্যালয়ে রোববার দুপুরে প্রাদেশিক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন জাতীয় সমন্বয় কমিটির সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।জি এম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিপক্ষে নয়। আইনটি গুরুত্বপূর্ণ। তবে আইনের কিছু ধারা নিবর্তনমূলক, যা ভিন্নমত দমনে ব্যবহার ও গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করছে।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কতিপয় ধারা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সীমিত করেছে। গণমাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মত প্রকাশের অধিকার অনেকাংশেই রোধ করেছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে কতিপয় ধারা। কিছু কিছু ধারায় বর্ণিত অপরাধ অজামিনযোগ্য, যা মানবাধিকারের পরিপন্থি।’তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যে ধারাগুলো মানুষের মুক্তচিন্তার অধিকার এবং বাক ও ব্যক্তিস্বাধীনতার প্রতি হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেই ধারাগুলো সংশোধনের জোর দাবি জানাচ্ছি।
‘ধারাগুলো পরিবর্তন করে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বজায় রেখে অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন জরুরি হয়ে পড়েছে।’
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এক মামলায় গত বছরের মে মাসে গ্রেপ্তারের পর থেকে কারাবন্দি ছিলেন তিনি। কারাবন্দি অবস্থায় মুশতাকের মৃত্যুর পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জোরদার হয়ে ওঠে। রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোটসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
দেশে আইনের শাসনের ঘাটতি রয়েছে উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘দলীয়করণের মাধ্যমে দেশে চরম বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে। এ কারণেই সুশাসন নিশ্চিত হচ্ছে না।’সভায় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও প্রদেশিক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন জাতীয় সমন্বয় কমিটির সভাপতি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ সভাপতিত্ব করেন।
বক্তব্য দেন দলের মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, কো-চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ফখরুল ইমাম, সুনীল শুভ রায়, মীর আবদুস সবুর আসুদ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন ও ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান।