আবার পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি রেখেছে গণফোরামের বিভক্ত দুটি অংশ। মাঝখানে মীমাংসার কথা বললেও শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে একই সময়ে কর্মসূচি ডেকেছে তারা।
এর আগে ১৭ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে গণফোরামের একপক্ষ ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় কমিটি সভা করে। অপর অংশ সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুর নেতৃত্বে প্রেসক্লাবের বাইরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
শনিবারের কর্মসূচির ব্যাপারে গণফোরামের সদস্য এমপি মোকাব্বির খান নিউজবাংলাকে জানান, ড. কামাল হোসেন জাতীয় প্রেসক্লাবে ৩টায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন।
কী ইস্যুতে সংবাদ সম্মেলন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের কথা থাকবে, জাতীয় ইস্যুও থাকবে।’
দলে বিভক্তি মীমাংসার দিকে গিয়েছিল, এখন কী অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এলেই শুনতে পাবেন।’
এদিকে ‘ঐক্যবদ্ধ ছাত্র সমাজ’ ও ‘যুব গণফেরাম’ নামে দুটি সংগঠন বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল ডেকেছে।
সংগঠনটির সদস্য সচিব মো. ইসমাইল সম্রাট নিউজবাংলাকে জানান, এ কর্মসূচিতে মোস্তফা মোহসীন মন্টু (গণফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক), অধ্যাপক আবু সাইয়িদ এবং অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী উপস্থিত থাকবেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি জানিয়েছে, কারা হেফাজতে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলে দাবিতে যুব গণফোরাম ও ঐক্যবদ্ধ ছাত্র সমাজের যৌথ উদ্যোগে এ কর্মসূচি ডাকা হয়েছে।
এ বিষয়ে গণফোরাম নেতা সুব্রত চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যে কর্মসূচি ডাকা হয়েছে সেটা ছাত্র-যুবকদের। সেই প্রোগ্রামে যে কেউ থাকতে পারেন।’
তিনি থাকছেন কি না জানতে চাইলে বলেন, ‘থাকতেও পারি, আবার না-ও থাকতে পারি।’
প্রতিষ্ঠার ২৭ বছর পর গত অক্টোবরে বিভক্তি দেখা দেয় গণফোরামে। ১৮ অক্টোবর মোস্তফা মহসিন মন্টু, আওয়ামী লীগ থেকে আসা অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, জগলুল হায়দার আফ্রিক, হেলালউদ্দিন, সুব্রত চৌধুরী, লতিফুল বারী হামিম, খান সিদ্দিকুর রহমান ও আব্দুল হাসিব চৌধুরীকে বহিষ্কার করা হয়।
মন্টুদের বাদ দিয়ে ১২ ডিসেম্বর কাউন্সিলের ঘোষণা দেয়া হয়, যাতে সায় ছিল ড. কামাল হোসেনের। মন্টুর নেতৃত্বে দলের কয়েকজন নেতা এ আদেশ না মেনে ২৬ ডিসেম্বর আলাদা কাউন্সিলের ঘোষণা দেন।
কাউন্সিলের দিন দলের প্রতিষ্ঠাতা ড. কামাল হোসেনকে বাদ দেয়ার ঘোষণাও দিয়েছিলেন বহিষ্কৃত নেতা মোস্তফা মহসিন মন্টুর নেতৃত্বাধীন নেতারা। তবে দুই পক্ষের কোনো কাউন্সিলই হয়নি। পরে মীমাংসার কথা শুনিয়েছিলেন দলটির দুই পক্ষই।