এইচ টি ইমাম চাকরি থেকে অবসর নিলেও কাজ থেকে কখনো অবসরে যাননি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের৷
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৃহস্পতিবার দুপুরে এইচ টি ইমামের প্রতি সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
কাদের বলেন, এইচটি ইমাম হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত দেশের জন্য কাজ করে গেছেন৷ তার মতো কাজপাগল সমাজে বিরল। তার মৃত্যুতে যে শূন্যস্থান তৈরি হলো তা কখনো পূরণ হওয়ার নয়৷
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাশে ছিলেন এইচ টি ইমাম৷ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তার কন্যা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি আমাদের দলের প্রচার সেলের প্রধান ছিলেন৷’
বেলা দেড়টায় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের মরদেহ নেয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
প্রথমেই তার কফিনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী শ্রদ্ধা জানান।
পরে আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মুকুল বোস, জাহাঙ্গীর কবীর নানক ও আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফসহ অনেকে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস৷
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘এইচ টি ইমাম জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার রক্ষায় কাজ করেছেন। তিনি যত দিন সক্রিয় ছিলেন দেশের জন্য কাজ করেছেন৷
‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তার ভূমিকার কথা আমরা সবাই জানি৷ মুক্তিযুদ্ধের পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য তিনি কাজ করেছেন৷ তার মৃত্যু বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক অপূরণীয় ক্ষতি৷’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, তার মৃত্যুতে দেশ একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক হারাল।
বুধবার রাত সোয়া ১টায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা যান স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিপরিষদ সচিব এইচ টি ইমাম৷
সকালে হেলিকপ্টারে তার মরদেহ নেয়া হয় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়। সেখানে আকবর আলী সরকারি কলেজ মাঠে হয় প্রথম জানাজা৷
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গুলশানের আজাদ মসজিদে হবে তার দ্বিতীয় জানাজা। পরে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।