যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানের অর্থ পাচার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ চতুর্থ বারের মতো পিছিয়েছে। পরবর্তী তারিখ রাখা হয়েছে ২৪ মার্চ।
পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী, বুধবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়ার কথা ছিল। তবে এতে ব্যর্থ হন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন। আর স্বাস্থ্য সনদ দেখিয়ে আদালতে আসেননি আসামি সম্রাট ও আরমান।
ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবুবকর ছিদ্দিক এদিন নতুন তারিখ রাখেন।
মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে ৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে গত বছর ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রমনা থানায় সিআইডি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রাশেদুর রহমান বাদি হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ইসমাইল চৌধুরী রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন, কাকরাইল এলাকায় অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ উপার্জন করেন। আরমানের সহায়তায় সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় এসব অর্ধ পাচার করেন সম্রাট।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, সম্রাট ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ৩৫ বার, মালয়েশিয়ায় তিনবার, দুবাই দুইবার এবং একবার হংকং ভ্রমণ করেছেন। একই সময়ে আরমান ২৩ বার সিঙ্গাপুর ভ্রমণ করেন।
ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক সভাপতি। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে রাজধানী মতিঝিলের ক্লাব এলাকায় ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ওঠে আসে তার ও সহযোগী আরমানের নাম।
এসব অভিযানের মধ্যে কিছুদিন আত্মগোপনে চলে যান সম্রাট-আরমান। তবে ওই বছরের ৭ আগস্ট কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাদের। এরপর রাজধানীর কাকরাইলের একটি ভবনে সম্রাটের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা, মদ ও ক্যাঙারুর চামড়া, ইলেকট্রিক সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
ক্যাঙ্গারুর চামড়া রাখার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত সম্রাটকে তাৎক্ষণিক ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে জেলে পাঠায়। রমনা থানায় তার বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে করা দুটি মামলা। অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে যুবলীগ এ নেতার বিরুদ্ধে একটি মামলা করে দুদক।