বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নুরের বক্তব্যে সরকার পতনে আশাবাদী ফখরুল

  •    
  • ২ মার্চ, ২০২১ ২১:৩৪

‘আজকে আমি অত্যন্ত আশাবাদী হয়ে উঠেছি, আ স ম আব্দুর রবের বক্তব্য এবং মাহমুদুর রহমান মান্না ও অত্যন্ত উদীয়মান এবং প্রতিশ্রুতিশীল নেতা নুরের বক্তব্যে। সেই বক্তব্যের মধ্যে একটি কথাই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে সমস্ত রাজনৈতিক শক্তি, তারা আজ ঐক্যবদ্ধ হতে চায়। ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলে এই সরকারের পতন ঘটাতে চায় এবং সত্যিকার অর্থে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়।’

সরকার পতন আন্দোলনে নেমে দুইবার খালি হাতে ঘরে ফেরার পর রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে যাওয়া বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, তিনি এবার আশাবাদী হয়ে উঠেছেন।

বিএনপি নেতার মনে এই আশা জেগেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, নাগরিক ঐক্যের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না ও জেএসডির নেতা আ স ম আবদুর রবের বক্তব্যে।

বিএনপি অবশ্য সরকার পতনের দাবিতে কোনো আন্দোলনে নামেনি। তবে সম্প্রতি দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এক দফার আন্দোলনে নামার কথা বলছেন নানা কর্মসূচিতে।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনায় মির্জা ফখরুলও একই ইঙ্গিত দিলেন। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে দলটির মাসব্যাপী কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে ‘পতাকা উত্তোলন দিবস’ উপলক্ষে এই আলোচনার আয়োজন করা হয়।

ফখরুলের আগে আলোচনায় বক্তব্য রাখেন বেশ কয়েকজন। তাদের বক্তব্য শুনে বিএনপি নেতার মনে সরকার পতনের আন্দোলন নিয়ে আশা জেগে উঠেছে।

তিনি বলেন, ‘আজকে আমি অত্যন্ত আশাবাদী হয়ে উঠেছি, আ স ম আব্দুর রবের বক্তব্য ও মাহমুদুর রহমান মান্না ও অত্যন্ত উদীয়মান এবং প্রতিশ্রুতিশীল নেতা নুরের বক্তব্যে।

‘সেই বক্তব্যের মধ্যে একটি কথাই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে সমস্ত রাজনৈতিক শক্তি, তারা আজ ঐক্যবদ্ধ হতে চায়। ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলে এই সরকারের পতন ঘটাতে চায় এবং সত্যিকার অর্থে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়।’

বিএনপি ২০১৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রথম দফা এবং ২০১৫ সালে দ্বিতীয় দফায় সহিংস আন্দোলনে নামে। তবে দ্বিতীয় দফায় অবরোধ ও হরতাল অকার্যকর হয়ে যাওয়ার পরে আর বড় ধরনের কোনো কর্মসূচি গত ছয় বছরে দেয়নি। তবে সম্প্রতি বিভিন্ন সভা-সমাবেশে নেতারা আবার জোরালো আন্দোলনের কথা বলছেন।

ফখরুল বলেন, ‘উন্নয়নের কথা বলে, দেশকে সিঙ্গাপুর বানানোর কথা বলে দেশের সমস্ত সম্পত্তি লুট করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিএনপিকে নেতৃত্ব দিতে হবে এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

‘আজকে একমাত্র রাজনৈতিক সংকট হচ্ছে গণতন্ত্র। আমাদের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আজকে আমাদের গণতন্ত্র হারিয়ে গেছে, স্বাধীনতার সমস্ত চেতনাগুলোকে লুন্ঠন করে নিয়েছে।’

এর আগে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ‘বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিকে ভূমিকা নিতে হবে, নেতৃত্ব দিতে হবে।’

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে সরকার ভিন্নমত দমনের জন্য ব্যবহার করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘সেই ক্ষেত্রে আমরা একটি কথা বলতে পারি, অন্যায় যখন নিয়ম হয়ে দাঁড়ায়, প্রতিরোধ তখন কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায়।’

আওয়ামী লীগকে ‘ছোট মনের অধিকারী’ মন্তব্য করে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আজ যারা ক্ষমতায় আছে তাদের মন খুব ছোট। তারা ইতিহাস মানে না। ওরা মানে না এই যে ছাত্রসমাজ আজ রাজপথে আন্দোলন করছে, মিছিল করছে, এটা এক দিনে হয়নি। এরা কেবল নিজেদের কথা বলতে চায়, অন্যের কথা শুনবে না। অন্য কেউ কথা বলুক, তা বলতে দেবে না। এদের প্রশংসা ছাড়া কাউকে সমালোচনা করতে দেবে না। কেউ যাতে না বলতে পারে সেজন্য বারবার ভয় দেখাবে, টুঁটি চেপে ধরবে, জেলে দেবে। তাও যদি হয় জেলের মধ্যে মৃত্যুবরণ করবে কিন্তু তারা আপনাকে তাও ছাড়বে না।’

কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর বিষয়ে মান্না বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো লোক অসুখ হয়ে মারা গেলে আমাদের কী করার আছে। তাহলে তো আর তদন্তের দরকার নেই, উনি তদন্ত করে বলেছেন।’

আইজিপির সমালোচনায় ফখরুল

পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের সাম্প্রতিক এক বক্তব্যের সমালোচনা করেন বিএনপি মহাসচিব।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ছাত্রদলের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নেতা-কর্মীদের ওপর ব্যাপক লাঠিপেটা করে। তবে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরাও লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশের দিকে তেড়ে যায়।

বেনজীর বলেছিলেন, পুলিশের হামলার সমালোচনা করা হচ্ছে, কিন্তু তাদের ওপর যে হামলা হয়েছে, সেটি নিয়ে কেউ কিছু বলছে না কেন।

ফখরুল বলেন, ‘পত্রিকায় দেখলাম সকালে, পুলিশের আইজি সাহেব, তিনি একটা প্রশ্ন রেখেছেন; প্রশ্নটি হলো পুলিশকে প্রতিপক্ষ ভাবা হচ্ছে কেন? আমাদেরও তো একই প্রশ্ন, আপনি অত্যন্ত শিক্ষিত মানুষ, ব্রাইট অফিসার, সুদর্শন। আপনি কি একবারও প্রশ্ন করেছেন নিজেকে যে, পুলিশকে কেন প্রতিপক্ষ ভাবছে জনগণ? কারা প্রতিপক্ষ ভাবছে? সে প্রশ্ন আপনার নিজেকে করেই উত্তর খুঁজে বের করুন।’

বিএনপি নেতা বলেন, 'আজকে যখন নির্বাচন হয় সে নির্বাচনে পুলিশ গিয়ে ভোট দিয়ে দেয় । অন্য কাউকে দরকার হয় না। আজকে যখন রাজনৈতিক ইস্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো নিয়মতান্ত্রিকভাবে, গণতান্ত্রিকভাবে সাংবিধানিক অধিকার অনুসারে প্রতিবাদ করতে যায়, এই যে নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন কেন করা হয়?

‘আজকে কেন বলা হয় থানায় থানায় যে দেশটা আমরা চালাই! আমরাই তো সরকার তৈরি করেছি। এসবের ব্যবস্থা আমরাই করব, সেই প্রশ্নটা একটু নিজেদের করুন, চেষ্টা করুন, তাহলে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আমান উল্লাহ আমানও এ সময় বক্তব্য রাখেন।

এ বিভাগের আরো খবর