বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাজপথে রক্ত চায় বিএনপি

  •    
  • ২ মার্চ, ২০২১ ২০:৪৭

‘আমরা সাতদিনের মধ্যে সরকারের পতন দেখতে পাব। এর জন্য ঢাকার রাজপথে রক্ত দিতে হবে। রাজশাহী, রংপুর, চট্টগ্রামে আন্দোলন করে কিছু হবে না। ঢাকাকে সুসংগঠিত করতে হবে।’

সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশে থেকে সরকার পতনের জন্য ঢাকায় জোরাল আন্দোলনের কথা উঠে এসেছে। সেই সঙ্গে রাজপথে রক্ত দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

গত দুই বছরে দেশের বিভিন্ন মহানগরে বিএনপির পরাজিত প্রার্থীদের ডাকা ধারাবাহিক কর্মসূচির তৃতীয় সমাবেশটি হয় উত্তরের মহানগরটিতে।

মঙ্গলবার বিকালে রাজশাহী মহানগরের মাদরাসা ময়দান সংলগ্ন একটি কমিউনিটি সেন্টারের সামনে ওই সমাবেশটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে ডাকা হলেও বিএনপি নেতারা সরকার পতনের একদফা আন্দোলনের ওপর জোর দেন।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বিএনপির পরাজিত ছয় মেয়র প্রার্থী এক মাস জুড়ে ছয় মহানগরে সমাবেশ করার ঘোষণা দেন।

প্রথম সমাবেশ হয় ১৮ ফেব্রুয়ারি বরিশালে। ২৭ ফেব্রুয়ারি হয় খুলনায়। ওই দুটি সমাবেশেও বিএনপি নেতারা সরকার পতনের আন্দোলনের কথা বলেন।

রাজশাহীর সমাবেশের বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল লতিফ ঢাকা থেকে আন্দোলন জোরদার করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সাতদিনের মধ্যে সরকারের পতন দেখতে পাব। এর জন্য ঢাকার রাজপথে রক্ত দিতে হবে। রাজশাহী, রংপুর, চট্টগ্রামে আন্দোলন করে কিছু হবে না। ঢাকাকে সুসংগঠিত করতে হবে।’

এই সমাবেশকে ঘিরে সোমবার সন্ধ্যায় রাজশাহী থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। সমাবেশের দিন প্রায় বন্ধ থাকে নগর পরিবহনও। সমাবেশ স্থলকে ঘিরে পুলিশের নিরাপত্তার আয়োজনও ছিল ব্যাপক।

সমাবেশস্থলে প্রস্তুত ছিল জলকামান, এপিসি যান এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের গাড়ি। পথে পথে ছিল পুলিশের তল্লাশি।

তবে শেষ পর্যন্ত কোনো গোলযোগ হয়নি। আর সমাবেশ শেষ হওয়ার পর যান চলাচলও চালু হয়ে যায়।

রাজশাহীর বিভাগীয় সমাবেশে অংশ নেয়া বিএনপি নেতা-কর্মীদের একাংশ

ঢাকা থেকে সমাবেশে যোগ দেয়া বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল ও আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনও রাজধানীতে আন্দোলন জোরদারের ঘোষণা দেন।

ইশরাক বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আজ একটা সুন্দর পরিবেশ থাকার কথা ছিল। তার বদলে আমাদের আন্দোলনের বার্তা নিয়ে রাজশাহী আসতে হয়েছে। আমাদের আন্দোলন শুরু হয়েছে।’

তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘আজ জাতীয় ভোটার দিবস। অথচ মানুষ ভোটই দিতে পারে না। আমরা এমন অবস্থা চাই না। সে কারণে আন্দোলনের আর কোনো বিকল্প নেই।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তিনি বলেন, ‘বৃদ্ধ বয়সে প্রস্তুত আছি। জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও গণতন্ত্র উদ্ধারের আন্দোলনে আমি আছি। সকলে প্রস্তুতি নিন।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার আগে থেকেই দেশের নানা সমস্যার সমাধান হয়েছে রাজপথে। এবারও রাজপথেই ফয়সালা হবে।’

রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সভাপতিত্বে সমাবেশ পরিচালনা করেন নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, হাবিবুর রহমান হাবিব, দলের যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সারোয়ার, হারুনার রশিদ এমপি, রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।

সমাবেশে রাজশাহী বিভাগের আট জেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকসহ নেতাকর্মীরা অংশ নেন। দুপুরের পর থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন তারা।

২০১৮ সালে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বড় ব্যবধানে হেরে যান বিএনপির প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। জেতেন আওয়ামী লীগের খায়রুজ্জামান লিটন।

বুলবুলের দাবি, কারচুপি করে হারানো হয়েছে তাকে। তবে ভোটের দিন কোনো ধরনের গোলযোগ বা কারচুপির জোরাল কোনো অভিযোগই উঠেনি সেখানে।

এ বিভাগের আরো খবর