ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে টিকা আসার কঠোর সমালোচনা করা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও নিলেন এই টিকা।
সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফেরার চার দিনের মাথায় সোমবার রাজধানীর উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে স্ত্রী রাহাত আরাকে সঙ্গে নিয়েই টিকা নেন বিএনপি নেতা।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে মির্জা ফখরুল নিজে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সকালে আমি এবং আমার স্ত্রী করোনার টিকা নিয়েছি।’
সিঙ্গাপুরে প্রায় এক মাস অবস্থানের পর গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দেশে ফেরেন ফখরুল। তিনি সেখানে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি ভারত থেকে উপহারের ২০ লাখ টিকা দেশে আসার পর থেকে বিএনপি এই টিকার সমালোচনা করে এসেছে। কোনো ধরনের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ ছাড়াই দলের মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভী টিকার বিরুদ্ধে ক্রমাগত বক্তব্য দিয়ে এসেছেন।
এই টিকা নিয়ে মানুষ বাঁচবে কি না এই সংশয় প্রকাশ করা রিজভী এমন কথাও বলেছেন, ‘ভ্যাকসিন দিয়ে সরকার বিএনপিকে মেরে ফেলতে চায়।’
রিজভী টিকাবিরোধী বক্তব্য দেয়ার পর থেকে ফেসবুকে বিএনপির সমর্থকরাও মানুষকে টিকা না নেয়ার আহ্বান জানিয়ে একের পর এক পোস্ট দিতে থাকেন।
তবে ৭ ফেব্রুয়ারি গণটিকা শুরুর পর থেকে মানুষ ব্যাপকহারে টিকা নিয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩২ লাখেরও বেশি মানুষ টিকা নেয়ার পাশাপাশি নিবন্ধন করেছে ৪৫ লাখেরও বেশি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে প্রথমে টিকা নেন যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন। পরে নেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, মনিরুল হক চৌধুরী।
এখন টিকা নিয়ে আর সমালোচনাও করছেন না বিএনপির নেতারা। নজরুল ইসলাম খান দলের আগের অবস্থান পাল্টে পড়ে বলেছেন, বিএনপি টিকা নেবে না, এ কথা বলেনি। সময় এলেই তারা টিকা নেবেন।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদও এই বিষয়ে বিএনপিকে টিপ্পনি কেটেছেন। বলেছেন, গোপনে লুকিয়ে টিকা না নিয়ে প্রকাশ্যেই নিতে। এই টিপ্পনির অবশ্য জবাব দেননি বিএনপির নেতারা।