সরকার খুলনায় বিভাগীয় মহাসমাবেশ বানাচলে ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করে মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, যেকোনো মূল্যে শনিবারই সমাবেশ হবে।
শুক্রবার দুপুরে নগরীর কে ডি ঘোষ রোড এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে মহাসমাবেশের সবশেষ প্রস্তুতি সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করে নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হয়রানি ও আটক করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে পুলিশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘মহাসমাবেশের অনুমতি চেয়ে কয়েক দফায় আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু ভোট ডাকাত আর অবৈধ সরকার কোনো জায়গায় অনুমতি দেয়নি। নেতা-কর্মীর ঢল ঠেকাতে পরিবহন মালিকদের ডেকে নিয়ে খুলনার ১৮ রুটের সব গাড়ি চলাচল ২৪ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।’
‘শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই অন্তত ৩০ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের এই আচরণ মোটেও কাম্য নয়।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিভাগীয় মহাসমাবেশ বানচাল করতে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’
পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক করে সমাবেশের আগে খুলনা বিভাগে যানবাহন চলাচলে নিষেধ করা হচ্ছে। এ সময় নেতা-কর্মীদের নির্বিঘ্নে সমাবেশে আসতে দিতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তি, পুলিশের এমন ‘অসদাচরণ’ পরিহারেরও দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘মহারাজ চত্বরেই সমাবেশ হবে। বিএনপি আশাবাদী দ্রুতই সমাবেশের অনুমতি দেয়া হবে।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, বিএনপি নেতা মীর কায়সেদ আলী, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চুসহ অনেকে।
সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাম বাতিলের ‘ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে এবং দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে খুলনায় মহাসমাবেশের ডাক দেয়া হয়েছে।
মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী ও যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।