বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৭ মার্চ: বিএনপির সিদ্ধান্তের প্রশংসায় কাদের

  •    
  • ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৫:৫১

‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চকে যারা এতদিন নিষিদ্ধ করে রেখেছিল, তারাই এখন ৭ মার্চ পালন করবে। বিএনপির এই সিদ্ধান্তকে আওয়ামী লীগ স্বাগত জানায়।… বিএনপির এ প্রচেষ্টা দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে ইতিবাচক আবহ তৈরি করবে।’

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালনে বিএনপির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি আশা করছেন, এই সিদ্ধান্তটি দেশের রাজনৈতিক পরিবেশের জন্য ইতিবাচক হবে।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে বিএনপির কর্মসূচিতে ৭ মার্চ ও ২৫ মার্চ আলোচনা সভা করার কথা জানানো হয়েছে।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ বা ২৫ মার্চ কালরাতের জাতীয় গণহত্যা দিবস এতদিন উপেক্ষা করে আসছিল বিএনপি।

বিএনপি কর্মসূচি ঘোষণার পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চকে যারা এতদিন নিষিদ্ধ করে রেখেছিল, তারাই এখন ৭ মার্চ পালন করবে। বিএনপির এই সিদ্ধান্তকে আওয়ামী লীগ স্বাগত জানায়।’

৭ ও ২৫ মার্চ পালনের বিষয়ে বিএনপির এক নেতা নিউজবাংলাকে বলেছেন‘ ‘বিএনপি যে কর্মসূচি আগে কখনও করেনি, এখন নতুন করে করছে, সেগুলো দেশবাসী বা আওয়ামী লীগ যেন ইতিবাচকভাবে নেয়।’

বিএনপির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে কর্মসূচি গ্রহণে করা কমিটির প্রধান খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘৭ মার্চ একটি ঐতিহাসিক দিন। সেটিকে স্মরণ করেই এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি আমরা রাজনৈতিক গণ্ডি থেকে বের হয়ে সর্বজনীন করার জন্যই মাসব্যাপী নানা আয়োজন রেখেছি, যাতে দেশের সর্বস্তরের জনগণ এখানে অংশগ্রহণ করতে পারে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির এ প্রচেষ্টা দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে ইতিবাচক আবহ তৈরি করবে।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা, বাংলাদেশ এক সূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধু সবার, তাকে মর্যাদার আসনে অভিষিক্ত করার অর্থই হচ্ছে দেশ ও স্বাধীনতার মূল্যবোধকে সম্মানিত করা।’

বিএনপি ৭ মার্চকে কেবল উপেক্ষা করেনি, বরং তারা ক্ষমতায় থাকাকালে বিশেষ করে ৭ মার্চের আয়োজনে নানা সময় আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করছে বর্তমানের ক্ষমতাসীনরা।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

বিএনপি শাসনামলে রেডিও-টেলিভিশনে বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণটি কার্যত নিষিদ্ধ ছিল। আওয়ামী লীগ বারবার অভিযোগ করে আসছে, তারা ভাষণটি বাজাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে বিরোধী দলে থাকতে।

২০১৭ সালে ইউনেসকো ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এই স্বীকৃতি উদযাপনে ওই বছর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আনন্দ সমাবেশ করে।

সেই সমাবেশের সমালোচনা করে ওই বছরের ২৬ নভেম্বর বিএনপিপন্থি সংগঠন জিয়া পরিষদের এক আলোচনায় বিএনপির সহসভাপতি শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘কবে কোনকালে কে বক্তৃতা করেছিল, তা নিয়ে কী মাতামাতি! সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাস্তায় নামিয়ে নৃত্য করতে বাধ্য করা হলো। এর ফল ভালো হবে না।’

তিনি বলেন, ‘৭ মার্চের ওই ভাষণ ছিল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য, স্বাধীনতার জন্য নয়। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিল জিয়াউর রহমান।’

এ বিভাগের আরো খবর