দলের গুটিকয়েক সদস্যের বদনামের বোঝা দল নেবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় বুধবার সকালে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা জানান।
দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে কাদের বলেন, ‘গুটিকয়েক লোক বদনাম করলে দল তার বোঝা নেবে না। ইচ্ছামতো বক্তব্য দিয়ে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে যারা, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।
‘দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যকলাপে কেউ জড়িত থাকলে যত বড় নেতাই হোক, কেউ পার পাবে না। কে, কোথায়, কখন কী করছেন, সবাই নজরদারিতে আছেন। দ্রুতই তাদের বিরুদ্ধে আগামী কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সভায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দল করলে দলের শৃঙ্খলা মনে চলতে হবে। মনে রাখতে হবে, দলে যেকোনো পর্যায়ে শেখ হাসিনা ছাড়া আর কেউ অপরিহার্য নয়।’
এ সময় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে কাদের বলেন, ‘নিজের অবস্থান ভারী করার জন্য পকেট কমিটি বরদাশত করা হবে না। সম্মেলনের মাধ্যমে তৃণমূল থেকে পর্যায়ক্রমে থানা পর্যন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।’
সরকারের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে দাবি করে তা প্রতিহত করতে নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান কাদের।
তিনি বলেন, ‘একটি কুচক্রী মহল আন্তর্জাতিক কুচক্রের সহায়তায় সরকারকে হটিয়ে পুতুল সরকার বসিয়ে তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করার অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের এ অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
‘দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে। তারাই দুঃসময়ে দলের সঙ্গে থাকবে। বসন্তের কোকিলদের খুঁজেও পাওয়া যাবে না। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অর্জনের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় থাকতে হবে। সে জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
দলে বিভাজন সৃষ্টিকারীদের ছাড় দেয়া হবে না জানিয়ে কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি পরিবার। যারা এ পরিবারের ঐক্যে ফাটল ধরাবে, তাদের কোনোভাবেই ক্ষমা করা হবে না।
‘দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো বক্তব্য বা দ্বিমত থাকলে তা দলীয় ফোরামে আলোচনা করতে হবে। তাতেও সমাধান না হলে লিখিতভাবে সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে জমা দিতে হবে।’
কেন্দ্রের অনুমতি ছাড়া দলের কোনো পর্যায়ের কমিটি বাতিল করা যাবে না বলেও জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।