বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আ. লীগের উপকমিটি থেকে বাদ অ্যাটর্নি জেনারেল

  •    
  • ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৯:২৭

‘আমাদের উপকমিটিকে সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখার জন্য এবং অ্যাটর্নি জেনারেল পদ নিয়েও যাতে কেউ বিতর্ক সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে এ এম আমিন উদ্দিনের পরিবর্তে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনসুরুল হক চৌধুরীকে অন্তর্ভুক্ত করেছি।’

দলের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সদস্য পদ থেকে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিনউদ্দিনকে সরিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

গত ১৮ জানুয়ারি কমিটি গঠনের পর এই নিয়োগের বৈধতা নিয়ে বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচ দিনের মধ্যে আমিন উদ্দিনের বদলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরীকে নিয়োগ দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দলের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। আগের দিন বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করে এই নিয়োগের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

তবে আওয়ামী লীগ বলছে, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তার নিয়োগ সংবিধান অনুযায়ী অবৈধ নয়, তবে, কোনো ধরনের বিতর্ক এড়াতে তাকে বাদ দিয়ে মনসুরুলকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

এই বিষয়ে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা লক্ষ করছি, কেউ কেউ এই বিষয়টিকে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপকমিটিকে বিতর্কিত করতে চান। অ্যাটর্নি জেনারেল পদ নিয়েও তারা সংবিধান ও আইনের সম্পূর্ণ ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন ও মনগড়া কথা বলছেন যা সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত।’

তাহলে কেন নতুন এই সিদ্ধান্ত- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের উপকমিটিকে সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখার জন্য এবং অ্যাটর্নি জেনারেল পদ নিয়েও যাতে কেউ বিতর্ক সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে এ এম আমিন উদ্দিনের পরিবর্তে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনসুরুল হক চৌধুরীকে অন্তর্ভুক্ত করেছি।’

অ্যাডভোকেট মনসুরুল হক চৌধুরী। ফাইল ছবি

রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তাকে রাজনৈতিক দলের কমিটিতে নিয়োগ দেয়ার সমালোচনা করেছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি। সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে দলের সিদ্ধান্ত জানিয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘একটি সাংবিধানিক পদের অধিকারীকে দলীয় পদে নিযুক্ত করা দেশের ইতিহাসে নতুন ঘটনা।…সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিকে দলীয় পদে নিয়োগ দেয়ার ঘটনা ১৯৭৫ সালে বাকশালের কমিটি গঠনের পর আর হয়নি।’

বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নয়, বরং সুপ্রিম কোর্টের একজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হিসেবে এ এম আমিন উদ্দিনকে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের বিষয়ভিত্তিক উপকমিটিগুলোতে কিছু বিশেষজ্ঞ সদস্য রাখার বিধান রয়েছে। এই ধরনের বিশেষজ্ঞ সদস্য দলের প্রাথমিক সদস্য নাও হতে পারেন।

‘উপকমিটিতে বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে আমরা দেশের সংবিধান ও সংশ্লিষ্ট প্রচলিত আইন, বিধিবিধান ও প্রথা অনুসরণ করেছি। এতে আইন ও প্রচলিত প্রথার কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।’

এ বিভাগের আরো খবর