করোনার টিকা নিয়ে দুর্নাম করায় বিএনপি নেতাদের এখন গোপনে টিকা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বলেছেন, লজ্জার কিছু নেই। প্রকাশ্যেই তারা টিকা নিতে পারেন।
ক্ষমতাসীন দলের নেতা বলেন, ‘যারা বিরূপ প্রচারণা চালিয়ে ছিল তারা এখন টিকা গ্রহণ করছে। এবং অন্যদেরকেও গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।’
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ইন্ডিয়ান মিডিয়া করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ আয়োজিত এক আলোচনায় বক্তব্য রাখছিলেন মন্ত্রী। আলোচনার বিষয় ছিল, ‘বঙ্গবন্ধু: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক’।
বাংলাদেশে করোনার টিকা আাসর পর কোনো ধরনের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ না দিয়ে বিএনপির মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভী করোনার টিকায় মানুষ বাঁচবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন।
পরে তিনি এমনও বলেন যে, ‘সরকার ভ্যাকসিন দিয়ে বিএনপিকে মেরে ফেলতে চায়।’
বিএনপি নেতার এই বক্তব্যের পর তাদের বহু কর্মী-সমর্থক সামাজিক মাধ্যমগুলোতে টিকাবিরোধী বক্তব্য দিয়ে জনগণকে নিরুৎসাহিত করে আসছিলেন।
তবে পরে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুব উদ্দিন খোকন, জয়নুল আবদীন ফারুক টিকা নিয়েছেন। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান দাবি করেছেন, তারা টিকার বিরুদ্ধে- এমন কথা বলেননি। সময় এলেই সবাই টিকা নেবেন।
বিএনপি নেতাদের আগের বক্তব্যের সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির কোন কোন নেতা গোপনেও টিকা নিয়েছে। আমি অনুরোধ জানাব, আপনারা এভাবে গোপনে লুকিয়ে লুকিয়ে না নিয়ে আপনারা যেভাবে জনসম্মুখে কথা বলেন ঠিক সেভাবে টিকা গ্রহণ করুন।
‘লুকিয়ে লুকিয়ে লজ্জা নিয়ে টিকা নেবেন না। আমরা আপনাদেরও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বদ্ধপরিকর।’
তথ্য পরিবেশন নিয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ
ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে, এমন তথ্য প্রকাশের আগে সতর্ক থাকারও পরামর্শ দেন হাছান।
মন্ত্রী বলেন, ‘এমন কোন সংবাদ যেন পরিবেশিত না হয় যেটি দুদেশের মধ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। কিছু কিছু ভুল অসত্য সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে। একই সঙ্গে শুধু এটি আমাদের দেশের পরিবেশিত হয়েছে তা নয়, ভারতের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে তা পরিবেশিত হয়েছে। যেটি দুই দেশের মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। যখন মানুষের মধ্যেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় তখন দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়।’
করোনার টিকা নিয়ে ভারতের একটি সংবাদমাধ্যমে ভুল সংবাদ পরিবেশিত হওয়ার পরে সেটার সূত্র ধরে বাংলাদেশের গণমাধ্যমেও তা ছাপার কথা জানান মন্ত্রী। বলেন, ‘অথচ পুরো তথ্যটা ছিল ভুল এবং মিথ্যা। সেটি যে ভুল সংবাদ ছিল তা প্রমাণ করতে ভারতের স্বাস্থ্য সচিবকে সংবাদ সম্মেলন করতে হয়েছে, সিরাম ইনস্টিটিউটকে সংবাদ সম্মেলন করতে হয়েছে এবং আমাদেরকেও কথা বলতে হয়েছে।’