নিজেদের অপকর্ম ঢাকার পাশাপাশি আল জাজিরার প্রতিবেদনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে সরকার জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব কেড়ে নিতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মঙ্গলবার দুপুরে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী বলেন, ‘আজকে দেশে অনেক তন্ত্র আছে। আওয়ামী লীগের মিথ্যা তন্ত্র আছে। কিন্তু গণতন্ত্র নেই।’
তিনি বলেন, ‘আজকে গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে আমাদের এই আন্দোলন। গণতন্ত্রের প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে অন্যায়ভাবে কারাগারে রাখার পর এখন গৃহবন্দি করে রেখেছে।’
সরকারের উদ্দেশে বিএনপির জ্যেষ্ঠ এ নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের একজন মন্ত্রী বলেছেন, সরকারের কুকীর্তি নিয়ে আল জাজিরার রিপোর্টের পেছনে বিএনপি-জামায়াতের হাত রয়েছে। আসলে তাদেরকে জিজ্ঞেস করলে বলবে যে, বাংলাদেশে করোনার পেছনেও বিএনপি-জামায়াতের হাত রয়েছে। এরা বিকৃত রুচিতে ভুগছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার কুকীর্তি করে, গণতন্ত্র হত্যা করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হত্যা করে মাফিয়াতন্ত্র কায়েম করেছে। এখন নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান শহিদ জিয়ার খেতাব কেড়ে নেয়ার চক্রান্ত করছে। আমি বলতে চাই, তাকে অপমান করে কোনো লাভ হবে না।’
অর্থ পাচার নিয়ে রিজভী বলেন, ‘আগামীতে জনগণ তাদের বিচার করবে যারা ক্যাসিনো করে, ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। জনগণ এখন সেই প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
খেতাব বাতিলের প্রস্তাব নিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘সরকার মূলত আল জাজিরার রিপোর্ট অন্যদিকে প্রবাহিত করার লক্ষ্যে জিয়ার খেতাব বাতিলের চক্রান্ত ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাজা দিয়েছে।’
নোয়াখালীতে সাংবাদিক হত্যা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে নেয়াখালীতে ওবায়দুল কাদের দুটি গ্রুপ তৈরি করে রেখেছেন। সেখানে তার ভাই মির্জা কাদেরের আন্দোলনে নিরীহ সাংবাদিক মুজাক্কিরকে প্রাণ দিতে হলো।
‘এই হত্যাকাণ্ডের দায় প্রধানমন্ত্রীর; এই হত্যার দায় ওবায়দুল কাদেরের। তবু তাদের কোনো অনুশোচনা নেই। ওদের সমস্ত লজ্জা-শরম ধুয়ে-মুছে নিচে ফেলে দিয়েছে।’
খেতাব বাতিলের বিষয়ে রিজভী বলেন, দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের খেতাব কেড়ে নিলে দেশের সম্মান ভূলুণ্ঠিত হয়।
ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন। এটি পরিচালনা করেন সংগঠনটির মহাসচিব অধ্যাপক ডা. আবদুস সালাম।
এতে অংশ নেন ড্যাবের সহসভাপতি ডা. সিরাজুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মেহেদী হাসান, যুগ্ম মহাসচিব ডা. শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ, ডা. এরফানুল হক সিদ্দিকী, ডা. শেখ ফরহাদ, ডা. দোলন, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের গোলাম মাওলা শাহিনসহ শতাধিক নেতা-কর্মী।