নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।
সংগঠনবিরোধী ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে শনিবার নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ কাদের মির্জাকে বহিষ্কারের এই সুপারিশ করেছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা আলোচনায় আসেন ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফার পৌর নির্বাচনের আগে আগে। সে সময় কাদের মির্জা কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ তোলেন।
তিনি সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসেন ক্ষমতাসীন দলের মেয়র প্রার্থী হয়েও বসুরহাটে সুষ্ঠু ভোট হবে কি না সে আশঙ্কা তোলার পর। নিজ দল তো বটেই, বিরোধী দলগুলোও তখন আওয়ামী লীগ ও সরকারকে কটাক্ষ করতে শুরু করে।
আওয়ামী লীগের নেতাদের নিয়ে অশালীন বক্তব্য, সভা-সমাবেশে আপত্তিকর উক্তি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে সংগঠনবিরোধী অশোভন মন্তব্য করার অভিযোগ এনে শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় কাদের মির্জাকে দল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচ এম খায়রুল আলম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী স্বাক্ষরিত জেলা আওয়ামী লীগের প্যাডে কাদের মির্জাকে বহিষ্কারের সুপারিশের চিঠি গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী কাদের মির্জাকে দল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশের চিঠির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বিষয়টিকে ‘সেনসিটিভ’ হিসেবে অবহিত করে এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বহিষ্কারের সুপারিশের ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বিগত কয়েক সপ্তাহ থেকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা দলীয় নেতা ও কর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে আহত করেছেন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন সময় নেতাদের নিয়ে অশালীন ও অশোভন মন্তব্য করেছেন।
এমন কয়েকটি কারণ তুলে ধরে কাদের মির্জাকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার করার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের কাছে সুপারিশ পাঠায়।
এ বিষয়ে কাদের মির্জার বক্তব্য জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।