বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বিএনপি ও জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে নেমেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন নোয়াখালী জেলার আওয়ামী লীগ নেতারা।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, নোয়াখালীর সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতাদের বিরুদ্ধে কাদের মির্জার বিভ্রান্তিকর বক্তব্য ও অশোভন আচরণের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তারা।
জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সামছুদ্দিন জেহান বলেন, ‘কাদের মির্জা বিএনপি-জামায়াত জোটের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। যেখানে জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতি ও উন্নয়ন নিয়ে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলো কখনও কোনো কথা বলতে পারেনি, সেখানে কাদের মির্জা বিরোধী দলের মুখপাত্রের ভূমিকায় বিবৃতি দিয়ে বেড়াচ্ছেন।
‘তিনি সংগঠনের গঠনতন্ত্রের বিরুদ্ধে গিয়ে আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি বাতিল ঘোষণা করে নতুন কমিটি ঘোষণা করছেন। এটা কি তার অপরাজনীতি নয়?’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন নোয়াখালী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু। তিনি বলেন, ‘কাদের মির্জার বক্তব্য দেখলে মনে হয়, তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী হিসেবে নয়, তিনি বসুরহাট পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি-জামায়াত জোট-সমর্থিত কতিপয় রাজনৈতিক দলের ভোটে।
‘তার এই অশোভনীয় আচরণ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং আমাদের নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বাদ পড়েননি।’
অবিলম্বে আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
নোয়াখালী সদর উপজেলা, পৌরসভা আওয়ামী লীগ এবং জেলার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতাউর রহমান নাছের, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ইমন ভট্ট, যুগ্ম আহ্বায়ক একরামুল হক বিপ্লব, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান আরমান, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত আদনান, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি খালেদ মোশাররফ হোসেন রাজু, সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিনসহ অনেকে।