বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকার পতনের সাইরেন শুনছেন রিজভী

  •    
  • ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৬:২৭

‘স্বৈরশাসকের পতন চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে এসেছে। হাসিনা আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। তার পতনের ঘণ্টা, তার পতনের সাইরেন বাজছে।’

আওয়ামী লীগ সরকার সহসাই ক্ষমতাচ্যুত হয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বলেছেন, সরকার পতনের সাইরেন বাজতে শুরু করে দিয়েছে।

শুক্রবার বিএনপির সহযোগী সংগঠন তাঁতী দলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান বিএনপি নেতা। এরপর তিনি এসব কথা বলেন।

বর্তমান সরকারকে স্বৈরশাসক আখ্যা দিয়ে রিজভী নেতা বলেন, ‘স্বৈরশাসকের পতন চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে এসেছে। হাসিনা আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। তার পতনের ঘণ্টা, তার পতনের সাইরেন বাজছে।’

২০০৯ সালের শুরুতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠন করা সরকার দুটি মেয়াদ এরই মধ্যে পূর্ণ করেছে। তৃতীয় মেয়াদের দুই বছরও শেষ হয়েছে।

এই সময়ের মধ্যে বিএনপি দুইবার আন্দোলনে নেমে ব্যর্থ হয়েছে। ২০১৪ সালে নির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচন ঠেকানোর আন্দোলনে যেমন তারা সফল হয়নি, তেমনি ২০১৫ সালে সরকার পতন আন্দোলনে নেমে খালি হাতে ঘরে ফিরেছে তারা। এরপর গত পাঁচ বছর তারা বড় ধরনের কোনো কর্মসূচি দেয়নি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে রিজভী বলেন, ‘তিনি যেভাবে অত্যাচার-নিপীড়ন ও বিরোধী শক্তি এবং মতকে ধ্বংস করতে উদ্যত হয়েছেন এর কারণটাই হচ্ছে তার পায়ের নিচে মাটি নেই। সে জন্য তিনি এখন অন্ধ রাষ্ট্রশক্তিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে দমিয়ে রেখে ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছেন। এইটা আর তিনি পারবেন না। তার বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে। এখন তার পতনের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।’

এমন আশাবাদে আসার বিষয়ে রিজভী বলেন, ‘নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ যারা বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করে তারা সবাই আজকে একত্রিত হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া বন্দি। তারপরেও তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তাকে মানসিকভাবে শারীরিকভাবে বিপযস্ত করার জন্য নানাভাবে নানা পন্থা অবলম্বন করছেন প্রধানমন্ত্রী। সে কারণে সারা দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে তারা বিক্ষুব্ধ।’

মানববন্ধন পণ্ড

মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বেগম খালেদা জিয়া ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় রায়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে কেরানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কর্মসূচিতেও যোগ দেন রিজভী।

জিঞ্জিরা বিএনপির কার্যালয়ের সামনের সড়কে এই মানববন্ধন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ফুটপাতেও দাঁড়াতে দেয়নি। পরে কার্যালয়ের ভেতরে প্রতিবাদ সভা হয়।

সেখানে রিজভী বলেন, ‘কিছু দূরেই আওয়ামী লীগের অফিস। সেখানে তাদের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা সশস্ত্র অবস্থান নিয়েছেন যাতে বিএনপি নেতা-কর্মীরা মানববন্ধন করতে না পারে। একদিকে পুলিশের রাইফেল অন্যদিকে আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা।’

কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি নিপুণ রায় চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘এক সড়কে পুলিশের দুই নীতি দেখলাম। অসংখ্য নেতা-কর্মী এসেও কর্মসূচিতে পুলিশের বাধায় অংশ নিতে পারেননি। এতেই বোঝা যায় সরকারের ভিত একেবারে দুর্বল হয়ে পড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) আজীবন ক্ষমতায় টিকে থাকবেন, তার অপকর্ম কেউ জানবে না। কিন্তু সবাই জেনে গেছে। বিচার বিভাগ নিয়ে, আইন আদালত নিয়ে এবং মাফিয়াতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে তিনি যে অপকর্ম করেছেন সেই অপকর্ম এখন প্রকাশিত হচ্ছে দেশ-বিদেশে।’

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরফত আলী সপু, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর