বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকারের ‘দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল’

  •    
  • ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৯:৫৯

‘সরকারের অবস্থা ভালো না। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে নানা নাটক, রঙ্গ করছে। আবার নতুন করে গ্রেপ্তার, মামলা, হামলা, নিপীড়ন, নিষ্ঠুর দমননীতি শুরু করেছে। জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে নতুন নতুন ইস্যু তৈরি করছে।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মনে করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অবস্থান নড়বড়ে হয়ে গেছে। এ কারণে পরিস্থিতি সামাল দিতে তারা নানা ‘নাটক, রঙ্গ’ করছে। এভাবে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে নিতে চায় তারা।

সরকারের অবস্থা কবিতার পঙ্‌ক্তিতে বর্ণনা করে রিজভী বলেন, ‘সরকারের অবস্থা ‘‘দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল, ভুলিতেছে মাঝি পথ"-এর মতো। চারিদিকে নানা কথাবার্তা, ফিসফাস শুনতে পাচ্ছে জনগণ।'

বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন বিএনপি নেতা।

তিনি বলেন, ‘ঘরে-বাইরে মুখ দেখাতে না পেরে সরকার বিরোধী দল তথা দেশের জনগণের বিরুদ্ধে চক্রান্তে মেতে উঠেছে।’

রিজভী বলেন, ‘অধঃপতিত পদ্ধতিতে নীতি, আদর্শ, প্রজ্ঞা বা দূরদর্শিতা নয় বরং প্রতিহিংসাপরায়ণতা, হঠকারিতা ও অবিমৃষ্যকারিতাই এখন এই সরকারের চলার পথপ্রদর্শক।'

তিনি বলেন, ‘সরকারের অবস্থা ভালো না। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে নানা নাটক, রঙ্গ করছে। আবার নতুন করে গ্রেপ্তার, মামলা, হামলা, নিপীড়ন, নিষ্ঠুর দমননীতি শুরু করেছে। জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে নতুন নতুন ইস্যু তৈরি করছে।’

মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে বিকৃতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি নিয়েও কথা বলেন রিজভী।

বলেন, ‘সারা দেশে কিছু মামলাবাজ পুষে রেখেছে সরকার। যাদের কাজই হলো সরকারের নির্দেশে বিরোধী দলকে ঘায়েল করতে মিথ্যা মামলা ঠুকে দেয়া।’

রিজভী বলেন, ‘এই নিশিরাতের সরকারের আমলেই এই সমাজে এদের মতো অসংখ্য মামলাবাজ দালাল-ফড়িয়াদের জন্ম হয়েছে। গণবিচ্ছিন্ন গণশত্রুদের দুঃশাসনের বাইপ্রোডাক্ট হচ্ছে এই মামলাবাজরা।’

২০১৬ সালে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের এক আয়োজনে খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহিদের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেন। পরে একই কথা বলেন গয়েশ্বর। এর প্রতিক্রিয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

রিজভীও সমর্থন করেছেন এই বক্তব্য। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার তালিকা এখনও যোগ-বিয়োগ হচ্ছে। কাটাছেঁড়া হচ্ছে। তাহলে ওনারা কি ভুল বলেছেন?’

তিনি বলেন, ‘মূলত প্রধানমন্ত্রীর নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্যই তিনি পথের কাঁটা ভেবে চারবারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ওপর জুলুমের মাত্রা বিপজ্জনকভাবে বৃদ্ধি করেছেন। একদিকে শারীরিকভাবে ভীষণ অসুস্থ দেশনেত্রীকে হত্যার চক্রান্ত, অন্যদিকে তাকে মানসিকভাবে দুর্বল করতে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় তিন বছরের বেশি সময় ধরে বন্দি করে রাখা হয়েছে। এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার গণ্ডিও ছাড়িয়ে গেছে।’

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জুলুম-নিপীড়ন-নির্যাতন চলছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘এর অবসান না হলে জাতীয়তাবাদী শক্তি হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপুও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর