বরিশাল মহানগরে বিএনপির সমাবেশে অংশ নিতে যাওয়া দলটির গাড়িবহর আটকে দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানী ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশে বিএনপির নেতা-কর্মীরা গাড়িবহর নিয়ে রওনা হন।
পথে মাওয়া ফেরিঘাটে বিএনপির গাড়িবহর আটকে দেয় ফেরি কর্তৃপক্ষ। ঘাটে গাড়িবহর এলে ফেরি কর্তৃপক্ষ তাদের অফিস বন্ধ করে চলে যায়।
উপায় না পেয়ে বিকল্প ট্রলারে করে নেতা-কর্মীদের নিয়ে পদ্মা পার হন বহরের নেতৃত্বে থাকা বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও সর্বশেষ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন।
পরে মাদারীপুর শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ঘাটে ইশরাক হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশে অংশ নেয়ার জন্য আমরা ঢাকা থেকে রওনা দিই, কিন্তু মাওয়াঘাটের কর্তৃপক্ষ নির্লজ্জভাবে আমাদের গাড়িবহর আটকে দেয়। আমাদের গাড়িবহর যাতে না যেতে পারে এ জন্য ফেরি কর্তৃপক্ষ অফিস বন্ধ করে চলে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘যাই হোক গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আন্দোলন করছি। আমরা আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাব। এখান থেকে গাড়ি ভাড়া করতে চাইলেও দেখা যায় প্রতিবন্ধকতা। ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাসগুলো কেউ যেতে রাজি হয়নি। সবার একটাই কথা, “মানা আছে।”’
রফিক মিয়া নামে একজন গাড়িচালক নিউজবাংলাকে বলেছেন, ‘আমি ভাড়া পামু, আমার সমস্যা নাই। কিন্তু মহাজন নিষেধ করছে।’
এদিকে সমাবেশের ১৮ ঘণ্টা আগে অনুমতি পেয়েছে বরিশাল বিএনপি। তবে তাদের দাবি করা স্থানে নয়। ঈদগা ময়দান বা সিটি করপোরেশনের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছিল বিএনপি। কিন্তু গতকাল রাতে তাদের শর্ত সাপেক্ষে জিলা স্কুল মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি দেয় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ।
আজ বেলা ২টায় এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। দলের যুগ্ম মহাসচিব এবং বরিশাল মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে ছয় সিটিতে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থীরা। আজ প্রথম সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বরিশালে।