ডিজিটাল যড়যন্ত্রের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু।
তিনি বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের যে অপচেষ্টা চলছে, বিএনপি তা রুখে দেবে।’
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে নওগাঁ জেলা বিএনপি আয়োজিত সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মিনু আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকার ভারত ও ইসরায়েলের ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশের মানুষের রক্ত চুষে খাচ্ছে। ধীরে ধীরে দেশের মানুষ পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ হচ্ছে। একটি বিষাক্ত বাজপাখি বাংলাদেশের আকাশে উড়ছে। সেই বাজপাখি পৃথিবীর মানচিত্র থেকে বাংলাদেশের ম্যাপকে ছোঁ মেরে তুলে নিতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ কোনোদিন মাথানত করেনি, কোনোদিন করবেও না। এই ষড়যন্ত্রকে কোনোদিন বাস্তবায়ন করতে দেবে না।
খালেদা জিয়ার এই উপদেষ্টা আরও বলেন, আগামী মার্চ মাস থেকে সারা দেশে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হবে।
এ সময় সাংসদ হারুন-অর-রশীদ বলেন, ‘আজকে বলা হচ্ছে, সারা দেশে উন্নয়নের রোল মডেল চলছে। আসলে প্রকৃতপক্ষে উন্নয়নের নামে চলছে লুটপাট। পদ্মা সেতু ৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প। সেই সেতু প্রথমে বলা হলো ’১৮ সালে শেষ হবে। ২০১৯ ও ২০০০ সাল গেল। এখন ২০২১ সালে বলা হচ্ছে ২০২২ সালে সেতুর কাজ শেষ হবে। ৮ হাজার কোটি টাকার সেতুর বাজেট এখন পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকার ওপরে। আজকে বলা হচ্ছে, পদ্মা সেতু নিজস্ব টাকায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকৃত সত্য হচ্ছে, পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের জন্য চীন ও ভারত থেকে ঋণ নেয়া হচ্ছে। সরকার এসব তথ্য গোপন রাখছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা সম্প্রতি যে তথ্য প্রকাশ করেছে, সেই দিক থেকে জনগণের দৃষ্টি ফিরিয়ে নিতে শহীদ জিয়াকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে সরকার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযোদ্ধাদের সার্টিফিকেট ও খেতাব দিয়ে গেছেন। আজকে তার কন্যা শেখ হাসিনা সে খেতাপ কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের মন থেকে কোনো দিন শহীদ জিয়ার নাম মুছে ফেলা যাবে না।’
সভায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুন অর রশিদ, সাবেক সাংসদ সামসুল আলম ও রায়হান আকতার রনি, নওগাঁ পৌরসভার মেয়র ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজমুল হক সনি, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন আহম্মেদ ও রফিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলামসহ অনেকে বক্তব্য দেন।