বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হিল্লি-দিল্লি দৌড়ে লাভ হবে না : রিজভী

  •    
  • ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৯:৩৭

‘আল জাজিরার একটি প্রতিবেদনে আপনার রাজসিংহাসন থরথর করে কেঁপে উঠল। আপনার গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান, আমলাদের প্রধান, পুলিশ বাহিনীর প্রধান সব দিল্লিতে যাচ্ছে।… জনভিত্তি না থাকলে হিল্লি-দিল্লি দৌড়ে কোনো লাভ হবে না।’

পতন ঠেকাতে সরকার ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বলে জানতে পেরেছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী। বলেছেন, এতে কাজ হবে না।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সোমবার নয়াপল্টনে এক বিক্ষোভে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি।

এ সময় তিনি বাংলাদেশকে নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন নিয়ে কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আল জাজিরার একটি প্রতিবেদনে আপনার রাজসিংহাসন থরথর করে কেঁপে উঠল। আপনার গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান, আমলাদের প্রধান, পুলিশ বাহিনীর প্রধান সব দিল্লিতে যাচ্ছে।

‘কারণ, আপনার ক্ষমতার উৎস তো জনগণ নয়। জিয়াউর রহমান বারবার বলেছেন, জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। এটা জিয়াউর রহমানের একটি মহান বাক্য মানুষের মুখে মুখে। আর আপনার ক্ষমতার উৎস তো আমরা জানি। জনভিত্তি না থাকলে হিল্লি-দিল্লি দৌড়ে কোনো লাভ হবে না।’

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মদত দেয়ার অভিযোগে জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল।

রিজভী বলেন, এর পেছনের কারণ প্রতিহিংসা। এটা ইতিহাসের জঘন্যতম কালো অধ্যায় হিসেবে রচিত হবে।

বিএনপির সমাবেশ ঘিরে পুলিশের কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা । ছবি: নিউজবাংলা

বিএনপি প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটা সঠিক নয় বলেও দাবি করেন রিজভী। বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আপনি কি আয়নার দিকে তাকান না? আপনি কি আপনার মন্ত্রিপরিষদের দিকে তাকান না? আপনি কাদেরকে সেখানে রেখেছেন?

‘শেখ মুজিবের হত্যাকারী যাদের বলা হচ্ছে, তাদের দেশ থেকে বাইরে পাঠিয়ে দেয়ার যখন ব্যবস্থা করা হয় তখন তো জিয়াউর রহমান বন্দি ছিলেন। গৃহবন্দি ছিলেন। তখন তো আপনাদের সমর্থনেই একটি ‍ক্যু হয়েছিল খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে।

‘সেদিন আমরা টেলিভিশনে দেখেছি, খালেদ মোশাররফের মা-ভাই বঙ্গবন্ধুর ছবি নিয়ে ৩২ নম্বরে মিছিল করেছে। সেই খালেদ মোশাররফই তো আপনার পরিবারের হত্যাকারীদের থাইল্যান্ডে পাঠিয়ে দিয়েছে। এ কথা আপনার মন্ত্রীরা বলে না কেন? আপনার নেতারা বলে না কেন?

‘সেদিন তো খালেদ মোশাররফ ক্ষমতায়। তাহলে তারা জিয়াউর রহমানের কথা বলছে কেন? জিয়াউর রহমান তো চাকরি করতেন। তিনি সেকেন্ড ম্যান ছিলেন, এক নম্বর ব্যক্তিও ছিলেন না।’

বাড়িতে হামলার পর সে সময়ের সেনাপ্রধান কে এম সফিউল্লাহকে বঙ্গবন্ধুর টেলিফোন করার বিষয়টি নিয়েও কথা বলেন রিজভী। সফিউল্লাহর বক্তব্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সেই সময়ে এক নম্বর ব্যক্তি যিনি ছিলেন, যার দায়-দায়িত্ব ছিল রাষ্ট্রপতিকে রক্ষা করার, তিনি টেলিফোনে বলছেন, ‘‘আপনি প্রাচীর টপকে পার হয়ে যান।"'

তিনি বলেন, ‘এতো বড় কাপুরুষ ভীরু লোককে আপনার পিতা সেনাবাহিনীর প্রধান বানিয়েছিলেন। … তিনি শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রাচীর টপকে বের হয়ে যেতে বলেছিলেন। এই হচ্ছে আপনাদের সেই সেনাপ্রধানের চরিত্র। আর সেই লোককেই কিনা আপনারা এমপি বানিয়েছিলেন।'

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তো ১৯৭২-৭৫ সালে ক্ষমতায় ছিল, আপনাকে ক্যাপ্টেন নাছির গ্রেপ্তার করেছিল কেন?'

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবুর সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী।

এ বিভাগের আরো খবর