বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এবার ঢাবির জিয়া হলের নাম পাল্টানোর দাবি

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২০:০০

জিয়াউর রহমানকে পাকিস্তানি অপশক্তির দোসর দাবি করে বক্তারা মানববন্ধন থেকে তিন দফা দাবি জানান। হলের নাম পরিবর্তন ছাড়া অন্য দুই দাবি হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যায় সব মদদদাতার মুক্তিযুদ্ধের খেতাব বাতিল এবং উচ্চ ক্ষমতার কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত বাকি কুশীলবদের বিচারের আওতায় আনা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের নাম পাল্টে দেয়ার দাবি জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামে একটি সংগঠন। তারা সম্ভাব্য নাম হিসেবে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা হল’ রাখার পরামর্শ দিয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মদদ দেয়ার অভিযোগে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল জিয়াউর রহমানের বীর উত্তর খেতাব বাতিলের পর বিএনপির বিক্ষোভের মধ্যে এই দাবি জানানো হলো।

রোবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে এই দাবি জানায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

জিয়াউর রহমানকে পাকিস্তানি অপশক্তির দোসর দাবি করে বক্তারা মানববন্ধন থেকে তিন দফা দাবি জানান। হলের নাম পরিবর্তন ছাড়া অন্য দুই দাবি হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যায় সব মদদদাতার মুক্তিযুদ্ধের খেতাব বাতিল এবং উচ্চ ক্ষমতার কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত বাকি কুশীলবদের বিচারের আওতায় আনা।

সমাবেশে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘জিয়াউর রহমান কখনই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। তিনি পাকিস্তানি চর ছিলেন। আমরা দীর্ঘদিন যাবত বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংসকারী জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের খেতাব বাতিলসহ মরণোত্তর বিচারের দাবি করে আসছি।’

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল জিয়াউর রহমানসহ বঙ্গবন্ধুর খুনিদের খেতাব বাতিলের যে সুপারিশ করেছে তাকে স্বাগত জানান বিচারপতি মানিক।

জিয়াউর রহমানকে বঙ্গবন্ধু হত্যার হোতা উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বিএনপি প্রতিষ্ঠাতার মরণোত্তর বিচার দাবি করেন।

মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের সঞ্চালনায় এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদসহ বিভিন্ন স্তরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর খুনিদেরকে বিভিন্ন দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত করে পাঠান। পাশাপাশি খুনিদের বিচার ঠেকাতে জারি করা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ সংবিধানের অংশ করেন।

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল জিয়ার এই ভূমিকার কারণে সম্প্রতি তার বীর উত্তম খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই প্রস্তাব এখন যাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে।

গত মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্ত আসার পর থেকে বিএনপি নানাভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি বরিশাল ছাড়া দেশের বাকি মহানগরগুলোতে বিক্ষোভের ডাকও দিয়েছে তারা।

এ বিভাগের আরো খবর