বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাত পুড়ে যাবে, সরকারকে বিএনপি

  •    
  • ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৯:২৯

আগুন নিয়ে খেলছেন। আপনাদের হাত পুড়ে যাবে, ছাই হয়ে যাবে। এই খেতাব কেউ দেয় নাই, এই খেতাব শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানসহ যারা খেতাব পেয়েছেন তারা প্রত্যেকে অর্জন করেছেন। এই খেতাবের ওপরে হাত দেয়ার কোনো অধিকার কারো নেই।’

জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের চেষ্টা করে করে ‘সরকার আগুন নিয়ে খেলছে’বলে মনে করে বিএনপি। দলের নেতারা সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, সরকারের হাত পুড়ে যাবে।

রোববার রাজধানীতে এক আলোচনায় বিএনপি নেতারা এই সতর্কতা দেন।

গত মঙ্গলবার জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল-জামুকার এক সভায় বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মদদ দেয়ার অভিযোগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতার বীর উত্তম খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত নয়।

জামুকার সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমে আসার পর থেকে বিএনপি টানা প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দলটির বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এদেশে ২৫ মার্চের আগে স্বাধিকারের আন্দোলন হয়েছে, স্বায়ত্বশাসনের আন্দোলন হয়েছে, পাকিস্তানের ক্ষমতায় যাওয়ার আন্দালন হয়েছে কিন্তু জিয়াউর রহমানই সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছেন।’

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি বাহিনীর অপারেশন সার্চ লাইট শুরুর পর বঙ্গবন্ধু ওয়্যারলেসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। জিয়াউর রহমান তখন চট্টগ্রামে কর্মরত।

২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। আর প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার যুদ্ধ পরিচালনায় দেশকে যে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করে, তার একটির দায়িত্ব দেয়া হয় জিয়াকে।

যুদ্ধ শেষে বঙ্গবন্ধু সরকার জিয়াউর রহমানকে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করে।

বিএনপি নেতা মোশাররফ বলেন, ‘আগুন নিয়ে খেলছেন। আপনাদের হাত পুড়ে যাবে, ছাই হয়ে যাবে। এই খেতাব কেউ দেয় নাই, এই খেতাব শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানসহ যারা খেতাব পেয়েছেন তারা প্রত্যেকে অর্জন করেছেন। এই খেতাবের ওপরে হাত দেয়ার কোনো অধিকার কারো নেই।’

জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের যৌথ উদ্যোগে এই আলোচনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ও।

তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য অর্জনের পথে সাহসের সঙ্গে পথ চলতে হবে। অনেকে বলে হাসিনা একটার পর একটা আইটেম দেয় আমাদেরকে ব্যস্ত রাখার জন্য। আমাদের কিন্তু এখন ব্যস্ত থাকার দরকার নাই, অনেক আইটেমেরও নিয়ে মাথা ঘামানোরও দরকার নাই।

‘ওই হীরক রাজার দেশের যে একটা শ্লোগান- রশি মেরে মারো টান, রাজা হবে খান খান। আমাদের ওই জায়গা থাকতে হবে।’

বিএনপির সহসভাপতি হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘১৯৭১ সালে ১৫ ডিসেম্বর মেজর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে আমরা সিলেট দখলমুক্ত করে ছিলাম। …স্বাধীনতার ৫০ বছর পর আমরা শুনতে পাচ্ছি জিয়াউর রহমান নাকি পাকিস্তানের দোসর ছিলেন। আমি তো সাক্ষী, মেজর জিয়াউর রহমান রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন ‘

বাংলাদেশ রাজাকার শব্দটি অত্যন্ত ঘৃণিত উল্লেখ করে হাফিজ বলেন, ‘আরেকটি শব্দ অত্যন্ত গৃহীত হওয়ার পথে। তার নাম জামুকা। নব্য রাজাকারের দল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করতে চায়।’

সরকারকে তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের মতো সেরা মুক্তিযোদ্ধার খেতাব নিয়ে টানাটানি করে নিজেরা নব্য রাজাকারের পরিণত হবেন না। এই ঝুঁকি নেবেন না আপনারা। অনাগত প্রজন্ম আপনাদেরকে ঘৃণার চোখে দেখবে।’

হাফিজ বলেন, ‘একাত্তরে শ্লোগান ছিল, বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো, আবার সময় এসেছে বীর বাঙালি জেগে উঠ, এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করো। জিয়াউর রহমানসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের সন্মানকে আবার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জ্ঞান নেই দাবি করে বিএনপি নেতা এও বলেন, ‘যুদ্ধ কতটা ভয়াবহ ছিল জামুকা সেটি কল্পনাও করতে পারে না।’

বিএনপির শরিক কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম বলেন, ‘আমার মতে জিয়াউর রহমান বীর পুরুষদের একজন, খুনিদের বিপক্ষে।’

এ বিভাগের আরো খবর