বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হঠাৎ সরকার পতনের খবর শুনবেন, আশায় রিজভী

  •    
  • ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৮:৩৪

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘জাতি মাফিয়া রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শুরু করেছে। হঠাৎ করেই সরকারের পতনের সংবাদ পাওয়া যাবে। শেখ হাসিনার চিরকালীন প্রধানমন্ত্রী থাকার স্বপ্ন পূরণ হবে না। এই সরকার এখন কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্র দিয়ে কোনো রকমে বেঁচে আছে।’

সারা জীবন ক্ষমতায় থাকার শেখ হাসিনার অভিলাষ পূরণ হবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বলেছেন, হঠাৎ সরকার পতনের সংবাদ আসবে।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের চেষ্টার প্রতিবাদে শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দলটির নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভে পুলিশি হামলার পর জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন রিজভী।

নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপির সভা-সমাবেশের মানুষের ঢল দেখে সরকার দিশেহারা, তাই সরকার লাঠির ভাষায় জবাব দিতে চাচ্ছে।

‘জাতি মাফিয়া রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শুরু করেছে। হঠাৎ করেই সরকারের পতনের সংবাদ পাওয়া যাবে। শেখ হাসিনার চিরকালীন প্রধানমন্ত্রী থাকার স্বপ্ন পূরণ হবে না। এই সরকার এখন কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্র দিয়ে কোনো রকমে বেঁচে আছে।’

সম্প্রতি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। এর প্রতিবাদে শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে নামে বিএনপি।

শান্তিপূর্ণভাবেই চলছিল বিক্ষোভ। দুপুরে সোয়া ১২টার দিকে প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশারফ হোসেনের বক্তব্য চলাকালে বিএনপি নেতা-কর্মীর ওপর চড়াও হয় পুলিশ।

শুরুতে হাতাহাতি হলেও একপর্যায়ে লাঠিচার্জ করে সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায় পুলিশ।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের ওপর তেড়ে আসা পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা

রিজভী জানান, এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্যমতে পুলিশি হামলায় আহত হয়েছেন ১৬০ জনের বেশি নেতা-কর্মী। পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ২৫ জনের অধিক নেতা-কর্মীকে।

তবে পুলিশ বলছে, বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে আটক করা হলেও তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।

বর্তমান অবৈধ সরকারের আদিম হিংস্রতা শুরু করেছে দাবি করে রিজভী বলেন, ‘আজকের ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো-আওয়ামী গুন্ডাশাহির রাজত্ব কত ভয়ংকর। শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ওপর পুলিশের এই হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত।’

বিএনপির এই নেতার দাবি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এই সরকারের ভাবমূর্তি তলানিতে ঠেকেছে। জনগণের মনোযোগ ভিন্ন দিকে সরাতেই সরকার একের পর এক ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।

রিজভী বলেন, ‘সরকারের কুকীর্তি নিয়ে দেশে-বিদেশে নানা জল্পনাকল্পনা আড়াল করতে না পেরে শেখ হাসিনা তার রীতি অনুযায়ী বেপরোয়া ডান্ডাতন্ত্র চালু করেছেন। আপনারা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি-ছাত্রলীগ-যুবলীগকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রীর সেই বিখ্যাত উক্তি “একটি লাশের বদলে দশটি লাশ ফেলতে হবে।”’

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতার ভাষায় বলছেন, শেখ হাসিনা একটি ‘মাফিয়া জেনারেশন’ তৈরি করতে চান বলেই বিরোধী দলের সভা-সমাবেশ, ভিন্নমত ও চিন্তা সহ্য করতে পারেন না। আওয়ামী লীগের হৃদয় কখনোই মুক্ত ও উদার ছিল না।

বিএনপির সমাবেশে পুলিশি হামলার পর জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: নিউজবাংলা

‘তাই র‌্যাব-পুলিশ ও গোয়েন্দা মেশিনারি দিয়ে গুম-খুন-মিথ্যা মামলা, হামলা, গ্রেপ্তার ও নিপীড়নের পথ বেছে নিয়েছে। গত ১২টি বছর ধরে দেশ থেকে সভা-সমাবেশের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। আজকে প্রেসক্লাবের ঘটনা ফ্যাসিবাদের অবয়বের চূড়ান্ত রূপ।’

এ সময় সংঘর্ষে আহত ও আটক হওয়া নেতা-কর্মীদের নামের তালিকা পড়ে শোনান রিজভী।

আহত নেতাদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, সহতথ্যবিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান শিমুলসহ অনেকে।

এ বিভাগের আরো খবর