রাজধানীর কলাবাগানে বন্ধুর বাসায় এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে করা মামলার আসামি ইফতেখার ফারদিন দিহানের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ পিছিয়েছে। আগামী ২ মার্চ আবারও তারিখ রেখেছে আদালত।
১১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা ছিল। তবে তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আ ফ ম আসাদুজ্জামান তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হন।
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা প্রতিবদনের জন্য আগামী ২ মার্চ তারিখ রাখেন।
পুলিশ পরিদর্শক আ ফ ম আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে জানান, আসামি দিহানের ডিএনএ টেস্ট করা হয়েছে। তবে রিপোর্ট তিনি হাতে পাননি। ঢাকা মেডিক্যালের ফরেনসিক বিভাগকে ডিএনএ ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের জন্য আরও এক দফা তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
এ ছাড়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মামলার জন্য প্রয়োজনীয় খসড়া মানচিত্র প্রস্তুতের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট হাতে পেলে আর সময়ক্ষেপন হবে না বলে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন।
গত ৭ জানুয়ারি দুপুরে নিজ বাসায় ডেকে নিয়ে বান্ধবীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ ওঠে দিহানের বিরুদ্ধে।
দিহান নিজেই ভুক্তভোগীকে ধানমণ্ডির আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। এ সময় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ৭ জানুয়ারি রাতে ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় একমাত্র আসামি করেন ইফতেখার ফারদিন দিহানকে।
এজাহারে দিহানের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর ২ ধারায় ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে ।
ওইদিন রাতেই দিহানসহ চার জনকে আটক করে পুলিশ কলাবাগান থানায় নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুধু দিহানকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় কলাবাগান থানার পুলিশ।
পরদিন ৮ জানুয়ারি দিহান একই আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।
এরপর তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ জানুয়ারি দিহানের ডিএনএ টেস্টের অনুমতি দেয় আদালত। পরবর্তীতে ১৩ জানুয়ারি দিহান যৌনশক্তিবর্ধক কোনো ওষুধ ও মাদক সেবন করেছে কিনা, তা পরীক্ষার অনুমতি দেয় আদালত।