বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাজধানীতে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেছেন দলটির নেতা-কর্মীরা।
নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বুধবার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে ফের দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন দলের নেতা-কর্মীরা।
বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি ও দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল।
সমাবেশে রিজভী বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনায় আমরা নিন্দা জানাচ্ছি। একই সাথে বলতে চাই, বীরত্ব শব্দটি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজন হয়। চাকুরি রক্ষায় নয় কিংবা প্রমোশন বা ইনক্রিমেন্ট আদায়ের জন্য নয়।
‘শহীদ জিয়া ছিলেন সেই বীর, যিনি দেশপ্রেমে পরিপূর্ণ এক জন ব্যক্তি। তাই একাত্তরে নিজের ও পরিবারের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রেখে সেই দুঃসময়ে রাজনৈতিক নেতৃত্বের শূন্যতায় স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।’
মিছিলে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদল সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি রফিকুল আলম।
মঙ্গলবার জামুকার ৭২তম সভায় জিয়া ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিনের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও জামুকা সদস্য শাজাহান খান।
বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি বলে চার জনের খেতাব বাতিল করা হয়েছে, এ কথাও জানান শাজাহান খান।
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনের মদতদাতা। সেই হিসেবে এই পাঁচ জনের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের মধ্যে শরিফুল হক ডালিম ‘বীর উত্তম’, নূর চৌধুরী ‘বীর বিক্রম’, রাশেদ চৌধুরী ‘বীর প্রতীক’ ও মোসলেহ উদ্দিন ‘বীর প্রতীক’ খেতাব পেয়েছিলেন।