পাকিস্তানের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক চান গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বলেছেন বাংলাদেশের অগ্রগতির সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধক হলো ভারত। তাই ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে খোলা মনে।
শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন বিএনপির জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই নেতা।
সাম্প্রতিক কাশ্মীর পরিস্থিতি এবং দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা বিষয়ে ওই বৈঠকের আয়োজন করে ‘সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ: বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠন।
জাফরুল্লাহ বলেন, ইরান, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়াকে ওয়াচ করা দরকার। তাদের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক তৈরি করা দরকার। আজকে আমাদের খোলা মনে ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলার সময় এসেছে। দেশের অগ্রগতির সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধক হলো ভারত।
জেলে যেতে চাই না
বাংলাদেশকে নিয়ে আল-জাজিরার প্রতিবেদন নিয়ে কিছু বলতে চান না বললেও পরে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা।
তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি, এই বয়সে আল-জাজিরার প্রতিবেদন নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। জেলখানায় যাওয়ার আমার শখ নেই। তা ছাড়া বিলাতে বেশি বছর থাকার কারণে কমোড ছাড়া পায়খানা করতে পারি না। সুতরাং একটা আয়েশি জীবন এখনও আমার রয়ে গেছে।’
‘আল-জাজিরা নিয়ে বক্তব্য রাখার দায়িত্ব একমাত্র সরকারের।’
পরে তিনি আবার বলেন, ‘আশ্চর্য ব্যাপার, যন্ত্র দিল ইসরাইল, আর ইউএন বলে, না না এটা তো হাঙ্গেরীর যন্ত্র। প্রধান সেনাপতির ভাই, উনি এটা করেছেন। সবাই করে আর উনি করলে কি দোষের আছে? আর উনাকে তো খুব দরকার। দেশে যখন গণতন্ত্র নাই, তখন এটা সামরিক বাহিনীর অস্ত্র দরকার।’
প্রধানমন্ত্রীকে হারাতে চাই না
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে সবাই মোসাহেব উল্লেখ করে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘যে কোনো মুহুর্তে আপনাকে ফেলে দিতে পারে। আপনাকে আমরা হারাতে চাই না। আমি অন্ততপক্ষে হারাতে চাই না।’
তিনি বলেন, ‘এই দেশে আপনার বিরুদ্ধে সবাই রাস্তায় দাঁড়ায়, একজন হলেও আমি আপনার পক্ষে দাঁড়িয়ে যাব। আপনার প্রতি কোনো অন্যায় করতে দেব না।’
‘সে জন্য আমি বলি, খালেদা জিয়াকে বের করে দেন, উনার মতো আপনার জন্যও আমি রাস্তায় রাস্তায় দাঁড়াব।’
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহছানুল হক মিলনও এ সময় বক্তব্য রাখেন।