বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপির কর্মসূচি পরিবেশ বিনষ্টের ষড়যন্ত্র: কাদের

  •    
  • ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৯:৪৯

শুক্রবার বিকেলে এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং স্বাধানীতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে কর্মসূচি পালনের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন।

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে বিএনপি ছয় মহানগরে একযোগে বিক্ষোভ সমাবেশের যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তা দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্টের ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, ‘হঠাৎ করে বিএনপির নিরপেক্ষ নির্বাচন দাবিতে মহাসমাবেশের কর্মসূচি দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্টের ষড়যন্ত্র বলে মনে হয়। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে দেশের বিরাজমান স্থিতিশীল পরিস্থিতি বিনষ্টের যে কোনো অপপ্রয়াস আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করবে।’

শুক্রবার বিকেলে নিজের সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ সব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের।

এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং স্বাধানীতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে কর্মসূচি পালনের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন।

শুক্রবারই দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মজিবুর রহমান সরোয়ার, যিনি আড়াই বছর আগে ভোটে হেরেছিলেন।

একই দিন না করে এক মাসে এই সমাবেশগুলো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেড় দশক ধরে রাষ্ট্রক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে, ১৮ ফেব্রুয়ারি বরিশালে, ২৭ ফেব্রুয়ারি খুলনায়, আগামী ১ মার্চ রাজশাহীতে, ৪ মার্চ ঢাকা দক্ষিণে ও ১৩ মার্চ ঢাকা উত্তরে সমাবেশ করবেন বিএনপির পরাজিত প্রার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে বরিশালের সাবেক সরোয়ার বলেন, ‘গণতান্ত্রিক পন্থায় আমরা এ সমাবেশগুলো করতে চাই। এ সমাবেশের মধ্য দিয়ে আমরা জনগণের কাছে যাব এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানাব।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মনে করেন, দেশে এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি বা ইস্যু নেই যে বিএনপিকে আন্দোলন করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, যেকোনো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে আওয়ামী লীগ স্বাগত জানায়। কিন্তু সমাবেশের নামে সহিংসতা সৃষ্টি করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে শক্ত হাতে তা দমন করা হবে।

বিএনপি দেশ ও জাতির কল্যাণ ভুলে নানান অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের পথকেই রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে বেছে নিয়েছে বলে এসময় অভিযোগ করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা বুঝতে পেরেছে, তাদের নেতিবাচক রাজনীতির কারণে জনগণ তাদের ভোট দেবে না।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার আলোচিত প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ টেনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী অভিযোগ করেন, বিএনপি একদিকে অপপ্রচারে বিনিয়োগ করছে, অপরদিকে ধোয়া তুলসি পাতা সেজে ব্যাখ্যা দাবি করছে।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি কোটি টাকা ব্যয় করে লবিস্ট নিয়োগ করে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে। আমরা বিএনপিকে অপরাজনীতি পরিহার করে জনগণের জন্য রাজনীতি করার আহ্বান জানাচ্ছি।

‘পাশাপাশি এটাও মনে করিয়ে দিতে চাই, নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। তাই ষড়যন্ত্রের পথ ত্যাগ করে জণকল্যাণের রাজনীতি করুন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আল জাজিরার অপপ্রচারে আমাদের দেশের জনগণ বিভ্রান্ত হবে না। জনগণ অপপ্রচারের বিপরীতে শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতির সুফল ভোগ করছেন।’

ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অনিয়মের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সরকারের স্পষ্ট ও কঠোর অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি তাদের সহযোগীদের নিয়ে বিদেশের মাটিতে বসে এখন আবার নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করছে।’

অপকর্মকারী কেউ শেখ হাসিনার মানুষ হতে পারে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার কাছে দলীয় পরিচায় মুখ্য নয়। উনার কাছে কোনো অপকর্মকারীর প্রশ্রয় নেই। কোনো সিন্ডিকেটের কাছে তিনি নিজেকে জিম্মি করেননি।’

বাংলাদেশের রাজনীতিতে গত ৫০ বছরে বঙ্গবন্ধুর পরিবারই সততার প্রতীক মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নিজেকে কোনো সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি করেননি।’

ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে দেশের সব মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে দলের সব শাখাকে সমাবেশ, জনসংযোগ কর্মসূচি পালনের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন।

তিনি জানান, দলের বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা যার যার বিভাগের কর্মসূচি সমন্বয় করবেন।

এ বিভাগের আরো খবর