বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কারচুপি করে জিতলে বাক্সে লাথি মারতাম: ইশরাক

  •    
  • ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৪:৫৭

‘আওয়ামী লীগে যারা রাজনীতিবিদরা আছেন, তারা কী করছেন? ...এভাবে ভোট চুরি করে আপনারা ক্ষমতার দাম্ভিকতা দেখাচ্ছেন। আমার নির্বাচনে যদি এভাবে কারচুপি হতো, আমি লাথি মেরে সে ভোটের বাক্স ফেলে দিতাম।’

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির পরাজিত প্রার্থী ইশরাক হোসেন বলেছেন, তিনি কারচুপির নির্বাচনে জিতলে ফলাফল মেনে নিতেন না। ব্যালট বাক্সে লাথি মেরে তিনি জনতার কাতারে চলে যেতেন।

দেশের ছয় মহানগরে ভোটে কারচুপির অভিযোগে ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে আগামী ১৩ মার্চ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে দেশের ছয় মহানগরে সমাবেশ করবে বিএনপি।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন আড়াই বছর আগে বরিশাল সিটি নির্বাচনে বিএনপির পরাজিত প্রার্থী মজিবুর রহমান সরোয়ার।

সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইশরাকও, যিনি ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসের কাছে হারেন।

সেদিনের ভোটে তাপস পান নৌকা প্রতীকে ৪ লাখ ২৪ হাজার ৫৯৫। আর ইশরাক ধানের শীষ নিয়ে পান ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫১২ ভোট।

তবে বিএনপি নেতার দাবি, ভোট সুষ্ঠু হয়নি, তাকে কারচুপি করে হারানো হয়েছে।

ইশরাক বলেন, ‘এভাবে ভোট চুরি করে আপনারা ক্ষমতার দাম্ভিকতা দেখাচ্ছেন। আমার নির্বাচনে যদি এভাবে কারচুপি হতো, আমি লাথি মেরে সে ভোটের বাক্স ফেলে দিতাম।’

আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশ করে বিএনপির প্রয়াত নেতা সাদেক হোসেন খোকার ছেলে বলেন, ‘আওয়ামী লীগে যারা রাজনীতিবিদরা আছেন, তারা কী করছেন? আজ দেশ তো রাজনীতিবিদরা চালাচ্ছন না। চালাচ্ছেন একদল গুন্ডা, মাফিয়া, সন্ত্রাসীরা। একজন মানুষ হিসেবে এবং একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে ন্যূনতম চক্ষুলজ্জা এবং আত্মসম্মান তো থাকা উচিত।’

ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠককে ‘সবই বোগাস’, ‘সবই ভুয়া’ উল্লেখ করে ইশরাক বলেন, ‘এগুলো করে কোনো লাভ হবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা কার কাছে বিচার দেব? কার কাছে বিচার চাইব? এবং কার অধীনে আমরা নির্বাচন করব। আমাদের এই বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে।’

বর্তমান সরকারের অধীনে এক হাজারটা নির্বাচন হলেও একই ফলাফল হবে বলেও মনে করেন ইশরাক। বলেন, ‘একমাত্র আমাদের যে প্রচলিত ব্যবস্থা ছিল, কেয়ারটেকার সরকারব্যবস্থা, সে ব্যবস্থায় ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্রে আর কোনো নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না।’

এ বিভাগের আরো খবর