সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ছয়টি মহানগরে একযোগে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন বিএনপির পরাজিত প্রার্থীরা।
একই দিন না করে এক মাসে এই সমাবেশগুলো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেড় দশক ধরে রাষ্ট্রক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে, ১৮ ফেব্রুয়ারি বরিশালে, ২৭ ফেব্রুয়ারি খুলনায়, আগামী ১ মার্চ রাজশাহীতে, ৪ মার্চ ঢাকা দক্ষিণে ও ১৩ মার্চ ঢাকা উত্তরে সমাবেশ করবেন বিএনপির পরাজিত প্রার্থীরা।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মজিবুর রহমান সরোয়ার, যিনি আড়াই বছর আগে ভোটে হেরেছিলেন।
সরোয়ার ছাড়াও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির পরাজিত প্রার্থী ইশরাক হোসেন, ঢাকা উত্তরের প্রার্থী তাবিথ আউয়াল, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রার্থী শাহাদাত হোসেন ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল উপস্থিত ছিলেন।
সরোয়ার বলেন, ‘গণতান্ত্রিক পন্থায় আমরা এ সমাবেশগুলো করতে চাই। এ সমাবেশের মধ্য দিয়ে আমরা জনগণের কাছে যাব এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানাব।’
২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সরোয়ার বরিশালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাদিক আবদুল্লাহর কাছে হেরে যান।
সেদিন মহানগরের ১২৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৬টিতে ভোট স্থগিত হয় গোলযোগের কারণে। বাকি কেন্দ্রগুলোর মধ্যে সাদিক পান ১ লাখ ৭ হাজার ৩৫৩ ভোট। আর সরোয়ার পান ১৩ হাজার ১৩৫ ভোট।
ভোট চলাকালেই কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান সরোয়ার।
একই দিন ভোট হয় গাজীপুর, খুলনা, সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনে।
এর মধ্যে কেবল সিলেটে জেতে বিএনপি। বাকি সবগুলোতে বড় ব্যবধানে জেতে আওয়ামী লীগ।
এরপর ঢাকার দুই সিটি করপোরশন ও সব শেষ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও বড় ব্যবধানে হেরেছেন বিএনপির প্রার্থীরা।
দেশে ১১টি সিটি করপোরেশনে ভোট হয়েছে। এর মধ্যে বিএনপির নেতারা চালাচ্ছেন দুটি সিটি করপোরেশন। সাতটি চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। একটি চালাচ্ছেন জাতীয় পার্টির নেতা। আর একটি সিটি করপোরেশনে ভোটে জিতলেও এখনো আওয়ামী লীগ নেতা দায়িত্ব বুঝে পাননি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও।