পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে টুঙ্গিপাড়ায় গেলেন ছাত্রলীগের নেতারা।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে জাতির পিতার সমাধিস্থলের উদ্দেশে রওয়ানা হন তারা।
এর আগে সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২০ মার্চ পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় যায় ছাত্রলীগ।
তখন ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন সাইফুর রহমান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন জাকির হোসাইন।
তবে প্রতিবছর ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবস এবং শোক দিবসে প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় নিয়মিত শ্রদ্ধা জানিয়েছে ছাত্রলীগ।
২৯ তম সম্মেলনের মাধ্যমে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসেন রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং গোলাম রব্বানী। নেতৃত্বে আসার এক বছর পর ২০১৯ সালের ১৩ মে কার্যনির্বাহী সংসদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করেন তারা। পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে অন্তত একবার টুঙ্গিপাড়ায় শ্রদ্ধা জানানোর প্রথা থাকলেও কমিটিতে বিবাহিত, মাদকসেবী, বিএনপি-জামায়াত পরিবারের সন্তান, সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের জায়গা দেওয়া হয়েছে দাবি করে আন্দোলেন নামেন পদবঞ্চিত নেতারা।
সে সময় পদবঞ্চিত নেতাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, কমিটিতে স্থান পাওয়া বিবাহিত, মাদকসেবী, চাঁদাবাজদের নিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়া মানে বঙ্গবন্ধুকে অপমান করা।
ফলে পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে সে সময় শ্রদ্ধা জানাতে টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়া হয়নি শোভন-রাব্বানীদের।
দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, স্বজনপ্রীতিসহ নানা অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করতে বাধ্য হন এই দুই নেতা।
তাদের অব্যাহতির পর ভারপ্রাপ্ত হিসেবে সংগঠনের দায়িত্বে আসেন আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্য।
তিন মাস ভারপ্রাপ্ত থাকার পর ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তাদের পূর্ণাঙ্গ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
এর আগে ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বিতর্কিত ২১ জনকে বাদ দেয়া হয়। এরপর নানা কারণে ফাঁকা হয় আরও বেশ কিছু পদ।
এক বছর গত রবিবার এসব পদে নাম ঘোষণা করে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করেন জয়-লেখক। সেই কমিটিই গেল জাতির পিতার সমাধিস্থলে।
যদিও অভিযোগ আছে পূর্ণাঙ্গ এই কমিটিতেও ফের বিতর্কিতদের স্থান দেওয়া হয়েছে৷ তবে জয় লেখক বলছে এসব অভিযোগ 'ভুয়া' এবং মিথ্যা।