১২ বছর ধরে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগকে যেকোনো সময় জনগণ ফেলে দেবে বলে দাবি করেছেন সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দুইবার সরকারবিরোধী আন্দোলেনে নেমে খালি হাতে ঘরে ফেরা দলটির নেতা বলেছেন, সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভ তীব্র। জনগণের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে না দিলে তারা বিদ্রোহ করবে।
বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদের জামিন নাচক করে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে বুধবার বিবৃতি পাঠান ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘তবে সরকারের সকল অপকর্ম ও অপশাসনের মূলোৎপাটনে জনগণের ক্ষোভ এখন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। জনগণের ক্ষমতা জনগণের নিকট ছেড়ে দেওয়া না হলে অবৈধ সরকারের রাজসিংহাসন যেকোনো মুহূর্তে দুমড়েমুচড়ে ফেলবে এ দেশের স্বাধীনতাকামী মানুষ।’
২০১৫ সালের জানুয়ারিতে সরকার পতনের দাবিতে বিএনপির অনির্দিষ্টকালের অবরোধ চলাকালে ঢাকার মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের গুলিস্তান টোল প্লাজার সামনে বাসে পেট্রল বোমা হামলা মামলার আসামি সালাহ উদ্দিন।
ওই বছরের ১২ আগস্ট ওয়ারী থানার উপপরিদর্শক শাহ আলম ৩৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দেন।
সকালে এই মামলায় সালাহ উদ্দিন ঢাকা মহানগর সপ্তম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আফতাবুজ্জামানের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেতন করেন। বিচারক তার আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠান।
ফখরুল বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগের রাতে ভোটের মাধ্যমে নির্লজ্জভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী আওয়ামী সরকার এখন ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ শাসন শুরু করেছে। বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদেরকে রাজনীতির অঙ্গন থেকে সরিয়ে দিতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলা দায়ের এবং আদালত কর্তৃক জামিন নামঞ্জুর যেন বর্তমান আওয়ামী সরকারের দৈনন্দিন কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে।’
দেশকে বিরোধী দলশূন্য করতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো কারণ ছাড়াই মিথ্যা মামলা দিয়ে কারান্তরীণ করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভুয়া, বানোয়াট ও সাজানো মামলায় বিএনপি সালাহউদ্দিন আহমেদের জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ বর্তমান গণধিকৃত সরকারের ধারাবাহিক অপকর্মেরই অংশ।
‘ক্ষমতাসীনরা বিরোধী নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা, তাদের ওপর হামলা, নির্যাতন-নিপীড়ণ এবং গুম, বিচার বহির্ভূত হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও দখলবাজিকে জাতীয় সংস্কৃতির অংশ করতে নানাবিধ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।’