বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অবশেষে পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেল ছাত্রলীগ

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৩১ জানুয়ারি, ২০২১ ২২:১৪

রোববার সন্ধ্যায় ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শূন্যপদসমূহ পূরণের কথা জানানো হয়। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাকে পদোন্নতিও দেয়া হয়েছে।

পদবঞ্চিত নেতাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে পূরণ করা হয়েছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ৬৮টি শূন্য পদ। এর মাধ্যমে ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি পূর্ণাঙ্গ হলো।

রোববার সন্ধ্যায় ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শূন্যপদসমূহ পূরণের কথা জানানো হয়। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাকে পদোন্নতিও দেয়া হয়েছে।

কমিটিতে সহসভাপতি পদ পেয়েছেন ম. সাইফ উদ্দিন বাবু, সাগর হোসেন সোহাগ, রায়হন কাওসার, রাকিব হোসেন, রানা হামিদ, আনন্দ সাহা পার্থ, শেখ সাগর আহমেদ, শুভ্রদেব হালদার, দেবাশীষ সিকদার সিদ্ধার্থ, আরিফ ইবনে আলী, আরিফ হোসেন রিফাত, জিয়াসমিন শান্তা, তিলোত্তমা শিকদার, শাহরিয়ার সিদ্দিকী শিশিম, ফরিদা পারভীন, উৎপল বিশ্বাস, মো. ওমর ফারুক, মিজানুর রহমান পিকুল, মুরাদ হায়দার টিপু, ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী সজীব, রাকিবুল হাসান নোবেল, খাদিজাতুল কুবরা, মো. মহিন উদ্দিন, রকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য ও জেসমিন আরা রুমা।

পূর্ণাঙ্গ কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন আব্দুল জাব্বার রাজ, দপ্তর সম্পাদক ইন্দ্রনীল দেব শর্মা রনি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মেহেদি হাসান সানি, পাঠাগার সম্পাদক সৈয়দ ইমাম বাকের, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার জামি উস সানি, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক তুহিন রেজা, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা বিষয়ক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ ফয়সাল, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক আল-আমিন রহমান ও উপপ্রচার সম্পাদক ফেরদৌস মাহমুদ পলাশ।

কমিটির উপদপ্তর সম্পাদক সজীব নাথ ও মিরাজুল ইসলাম খান শিমুল, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক তন্ময় দেবনাথ ও আমান উল্লাহ আমান, উপ-সংস্কৃতি সম্পাদক মো. মোর্শেদুর রহমান আকন্দ, শেখ নাজমুল, মো. মাইনুল হাওলাদার ও ইসমাইল হোসেন এবং উপসমাজসেবা সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।

আন্তর্জাতিক সম্পাদক হয়েছেন সামাদ আজাদ জুলফিকার, উপ-পাঠাগার সম্পাদক এম আর মুকুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেন, উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. আব্দুর রশিদ (রাফি), উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো. আতিকুল ইসলাম (আতিক), উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক শাহেদ খান, উপ-তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এহসান পিয়াল, উপ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াহিদ খান রাজ, উপ-স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ক সম্পাদক রাজেশ বৈশ্য, জেরিন শিকদার, সাধন বিশ্বাস ও মো. রিজভান আহমেদ, উপ-ছাত্রবৃত্তি সম্পাদক মাহফুজুর রহমান ও উপ-কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক শাহজাহান ভূঁইয়া শামীম।

সহ-সম্পাদক পদে পেয়েছেন ফারুকুল ইসলাম (ফারুক বেপারী), ফাইজুল ইসলাম সজীব, শেখ রিজওয়ান আলী, আয়েশা আক্তার সুমি, এম সাইফুল ইসলাম সাইফ, এইচ এম রোমান মাহমুদ, মো. রুবেল শিকদার, মীর সাব্বির, জাহিদুল ইসলাম নোমান। সদস্য পদ পেয়েছেন সাজিদ আহমেদ দীপ্ত ও আলী হোসেন আলম।

রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানী ছাত্রলীগের দায়িত্ব পাওয়ার এক বছর পর ২০১৯ সালের ১৩ মে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ঘোষণার পরপরই অভিযোগ ওঠে কমিটিতে যোগ্যদের স্থান না দিয়ে রাখা হয়েছে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি, মাদকসেবী, বিএনপি-জামায়াত ও রাজাকার পরিবারের সন্তানদের। কমিটিতে জায়গা করে নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজিতে যুক্ত, বিবাহিত, সংগঠনে নিষ্ক্রিয় এবং অছাত্ররাও।

এছাড়া সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামেন ছাত্রলীগের বঞ্চিত ও পদ না পাওয়া নেতাকর্মীরা।

এমন প্রেক্ষাপটে পূর্ণাঙ্গ মেয়াদে দায়িত্ব পালনের আগেই ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর পদত্যাগ করতে বাধ্য হন এই দুই নেতা। তাদের অব্যাহতির পর সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্য।

পরের বছর সংগঠনের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তাদের পূর্ণাঙ্গ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এর আগে ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর বিতর্কিত ২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের পদ শূন্য ঘোষণা করে সংগঠনটি। এছাড়া ১১ জন স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেন।

ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত আল নাহিয়ান খান জয়ের সহসভাপতি পদ, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ খালি রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নথি জালিয়াতির অভিযোগে বহিষ্কার করা হয় সহসভাপতি তরিকুল ইসলাম মুমিনকে।

এর বাইরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ায় সহসভাপতি পদে ইশরাত কাশফিয়া ইরা, সুরঞ্জন ঘোষ, ফাহাদ হোসেন তপুকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

চাকরিতে যোগদান করায় তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সাদিকুল ইসলাম, উপগ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক নাজমুস সাকিব, উপসমাজসেবা সম্পাদক তৌকির আহম্মেদ তপুকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

এ বিভাগের আরো খবর