‘আরাফাত রহমান কোকো কোনো রাজনীতিবিদ ছিলেন না। তিনি এক জন ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন।’
কোকোর ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রোববার সকালে বনানী কবরস্থানে তার কবর জিয়ারতের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ফখরুল বলেন, ‘অতি অল্প সময়ের মধ্যে ক্রীড়াঙ্গনে বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে কোকো নিজেকে স্মরণীয় করে রেখেছেন। দুর্ভাগ্য আমাদের এই অত্যন্ত মেধাবী ক্রীড়া সংগঠককে মইন উদ্দিন-ফখরুদ্দীন সরকার নির্মমভাবে, অন্যায়ভাবে নির্যাতন করায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
‘সেই অসুস্থ অবস্থায় তিনি মারা গিয়েছেন। আমরা মনে করি তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কোকোর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেন, কর ফাঁকিসহ বিভিন্ন মামলা ছিল। সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০০৮ সালের ১৭ জুলাই কোকো জামিন পেয়ে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে যান। তারপর সেখান থেকে মালয়েশিয়া যান। পরিবার নিয়ে সেখানেই থাকা শুরু করেন।
সকালে বনানী কবরস্থানে কোকোর করব জিয়ারত করেন মির্জা ফখরুল। ছবি: সাইফুল ইসলাম।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার কোকোর জামিনের মেয়াদ না বাড়ানোয় তার বিরুদ্ধে করা মামলায় পলাতক দেখানো হয়।২০১৫ সালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মালয়েশিয়ায় মারা যান কোকো।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আরাফাত রহমান কোকো সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য; সৃষ্টি হয়েছে ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নের জন্য।’
ফখরুলের সঙ্গে কবর জিয়ারত করতে যান যুবদল সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান, ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ শতাধিক নেতাকর্মী।