নোয়াখালী সদর আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর আলোড়ন তোলা বক্তব্যের পর দিন সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। কথা বললেন দলীয় শৃঙ্খলা নিয়ে। কিন্তু কিছুই বললেন না তার নিজ জেলার সংসদ সদস্যের বক্তব্য নিয়ে।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ফেসবুক লাইভে এসে একরামুল বলেন, ‘আমি কথা বললে তো মির্জা কাদেরের বিরুদ্ধে কথা বলব না, আমি কথা বলব ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে। একটা রাজাকার ফ্যামিলির লোক এই পর্যায়ে আসছে; তার ভাইকে শাসন করতে পারে না। এগুলো নিয়ে আমি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কথা বলব। আমার নাম যদি জেলা কমিটিতে না আসে তাহলে আমি এটা নিয়ে শুরু করব।’
মির্জা কাদের সম্পর্কে ওবায়দুল কাদেরের ভাই। তার সঙ্গে একরামুলের বিরোধ তৈরি হয়েছে। একরামুলকে নেয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অপসারণের দাবিতে তিনি আন্দোলনেও নেমেছেন।
একরামুল অবশ্য তার এই বক্তব্য থেকে সরে এসেছেন। বলেছেন তিনি আর ‘গুতাগুতি’ করবেন না। তিনি তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন এভাবে, ‘ওবায়দুল কাদের মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু মির্জা কাদেরের পরিবার রাজাকার।’
শনিবার নিজ বাসা থেকে সংবাদ সম্মেলনে এসে কাদের দলীয় শৃঙ্খলা নিয়ে কথা বললেও এই প্রসঙ্গটি নিয়ে পুরোপুরি চুপ থাকেন।
নোয়াখালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী। ছবি: নিউজবাংলা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দল করতে হলে সবাইকে দলের নিয়ম, শৃঙ্খলা তথা দলের রীতি-নীতি ও গঠনতন্ত্র মেনে চলতে হবে।...দলীয় শৃঙ্খলার উর্ধ্বে কেউই নয়।’
রাজনীতিকে একটি বহুমাত্রিক মহাসড়ক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক চেতনায় আমাদের ভিন্নমাত্রা থাকতে পারে কিন্তু এ সকল মতপার্থক্য আলাপ আলোচনার মাধ্যমে নিরসন করতে হবে সাংগঠনিক পরিমণ্ডলে।
‘দলের জন্য কেউ বোঝা হতে চাই না। কেউ দলীয় শৃঙ্খলার উর্ধ্বে নয়, শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়ে শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।’
কাদের বলেন, ‘সীমারেখার মধ্যে থেকে দলীয় শৃঙ্খলার অনুশাসন মেনে চলতে হবে। দলে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের রয়েছে নিজস্ব সীমারেখা। কথায়, আচরণে, বক্তব্যে নিজের সীমারেখা অতিক্রম করা থেকে বিরত থাকতে হবে।’
বিএনপিরও সমালোচনা করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। বলেন, ‘বিএনপির অপমৃত্যু তো সেদিনই হয়েছে, যেদিন তারা সরকার পরিবর্তনের জন্য জনগণের কাছে না গিয়ে বিদেশি শক্তির কাছে নৈতিক সমর্থন চেয়ে বিবৃতি দিয়েছিল।
‘করোনার আঘাত মোকাবিলায় যারা শেখ হাসিনাকে পরাজিত দেখতে চেয়েছিলেন আজ তারাই পরাজিত হয়েছে।’