করোনার টিকা কবে পাবেন জানতে চেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেছেন, টিকা নিয়ে লুটপাট হয়ে যাচ্ছে।
ভারত থেকে ৭০ লাখ টিকা আসার আগের দিন রাজধানীতে এক আলোচনায় তিনি বলেন, ‘আগে বলছে ২০ লাখ আসবে। আর ২০ লাখ কারা পাবে সেটাও আমরা জানি না। প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে আসবে সেটা কারা পাবে সেটাও আমরা জানি না। আমরা যারা সাধারণ মানুষ, কখন তা পাব তার কোনো নিশ্চয়তা নাই।’
করোনার টিকা নিয়ে বিএনপির একেকদিনের বক্তব্য একেক রকম। একেক নেতা বক্তব্য রাখছেন একেক রকম।
মির্জা ফখরুল যেদিন সাধারণের টিকা কবে সে প্রশ্ন তুলেছেন, সেদিন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, টিকা আগে দিতে হবে ভিভিআইপিদের। পরে দিতে হবে সাধারণ মানুষকে।
ফখরুলের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ করোনা নিয়েও লুটপাট করছে। তিনি বলেন, ‘প্রথম দিকে করল করোনা টেস্ট নিয়ে। রিজেন্ট হাসপাতাল আর সাবরিনাদের দিয়ে তারা লুটপাট করল। আজকে যে ভ্যাকসিন দিয়ে মানুষের জীবন বাঁচবে সেটা নিয়েও লুটপাট শুরু করেছে। অনেক বেশি দাম দিয়ে ভারতের কাছ থেকে নিয়ে আসতেছে। আর এই ভ্যাকসিন সাধারণ মানুষ পাবে কি না তারও কোনো রোডম্যাপ নাই।’
জিয়াউর রহমানের ৮৫তম জন্মবার্ষিকীতে এই আলোচনা সভাটি হয় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে।
জিয়ার প্রশংসা করে ফখরুল বলেন, ‘তার জন্মই হয়েছে নেতা হয়ে। জীবনের প্রতিটা স্তরে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি আমাদেরকে একটা আলাদা ভূখণ্ড, একটা আলাদা জাতিসত্ত্বা ও আমাদেরকে একটা পরিচিতি দিয়েছিলেন।
‘আমরা শুধু বাঙালি নই, আমরা শুধু মার্মা নই, আমরা চাকমা নই, অবাঙালি নই, বিহারী নই, আমরা ভারতীয় নই, আমরা হলাম বাংলাদেশি।’
আওয়ামী লীগ সরকার জিয়াউর রহমান ও বিএনপির নাম মুছে ফেলতে চাইছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি, কলেজ, স্থাপনা সব জায়গা থেকে তারা জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলতে চায়। কিন্তু পারছে কি? পারছে না। কারণ জিয়াউর রহমান একেবারে মানুষের হৃদয়ের মধ্যেই চলে গেছে।’
বিএনপি নেতার দাবি, মানুষকে আওয়ামী লীগ বিভক্ত করেছিল। আর সেই জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছেন জিয়াউর রজমান।