বসুরহাটে আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল কাদের মির্জা এবার রাজনৈতিক কর্মীদের পাশাপাশি প্রশাসনের দুর্নীতির কথা তুলে ধরেছেন। বলেছেন বিচার কিরতে হবে এরও।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই বলেন, ‘অপরাধীদের বিরুদ্ধে আমাকে কথা বলতে হবে। আমি ভয় করি একমাত্র আল্লাহকে।’
দ্বিতীয় ধাপের পৌর নির্বাচনের সময় সুষ্ঠু ভোটের দাবিতে আন্দোলনের পাশাপাশি বৃহত্তর নোয়াখালী এলাকায় সরকারদলীয় সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, সন্ত্রাসের অভিযোগ আনেন তিনি।
তখন কারও নাম উল্লেখ করেননি কাদের মির্জা। এবার তিনি জানালেন কথা বলেছেন নোয়াখালী সদর আসনের সংসদ সদস্য একরাম করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে খোদা মানে। প্রশাসনের এ তেল মারা বন্ধ করতে হবে। প্রশাসনের দুর্নীতির বিচারও করতে হবে।’
গত শনিবারের ভোটে বিপুল ব্যবধানে জিতেছেন কাদের মির্জা। দুই দিন পর সোমবার বসুরহাট পৌরসভা ভোটারের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘এখন থেকে সকল রাজনৈতিক দল এখানে তাদের দলীয় কাজ করতে পারবেন। তবে কোন অপরাজনীতি হয়ে থাকলে তা মানা হবে না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে বিএনপি-জামায়াত আবার বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসলে আওয়ামী লীগ এলাকা ছাড়তে হয়- এ সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।’
নির্বাচনকে সুষ্ঠু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে গণতান্ত্রিক উপায়ে সব হবে। আমরা অতীতে অনেক ভুল করেছি। আল্লাহর কাছে আমি ক্ষমা চাই। আল্লাহ ক্ষমাশীল। আল্লাহ ক্ষমা করবেন।’
শনিবারের জয় জনগণকে উৎসর্গ করে কাদের মির্জা বলেন, ‘এ বিজয় জনগণের বিজয়। এ বিজয় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একটি অসাম্প্রদায়িক, সুখি সমৃদ্ধশালী দেশ গড়ার বিজয়। এ বিজয় জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের বিজয়। এ বিজয় ওবায়দুল কাদের সাহেবের বিজয়। এ বিজয় তাদের যারা নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি সাহস জুগিয়েছেন। এ বিজয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর আন্তরিকতার বিজয়। আমি সকলের জন্য এ বিজয় উৎসর্গ করলাম।’
প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী কামাল উদ্দিন চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত নেতা মোশরফ হোসেনের সঙ্গে দেখা করার কথাও জানান কাদের মির্জা। বলেন, ‘তারা আমাকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। আমি তাদের এ সমাবেশ থেকে ধন্যবাদ জানাই।’
বিরোধী পক্ষ উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনি জামায়াত করেন, আপনার রাইট আছে। কিন্তু নিরবে বসে বঙ্গবন্ধুর সমালোচনা করবেন না। মানা হবে না। মসজিদের মিম্বরে বসে সমালোচনা করবেন না।’
কাদের মির্জা আরও বলে, ‘আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদেরের কাছে আবেদন তিনি যেন নোয়াখালীতে ত্যাগী নেতাদের নিয়ে কমিটি করেন। ত্যাগী নেতাদের বঞ্চিত করবেন না। আওয়ামী লীগে অনেক পরীক্ষিত নেতা আছেন, তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করুন। তাদের ঐক্যবদ্ধ করলে কখনও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরানো যাবে না।’
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের সভাপতিত্বে ও চরপার্বতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম তানভীরের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আরজুমান পারভীন রুনু।