বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কাদেরের ভাইয়ের অভিযোগ যাবে দলীয় ফোরামে

  •    
  • ১৮ জানুয়ারি, ২০২১ ১৬:১৮

‘তিনি যে বক্তব্যগুলো দিয়েছেন নির্বাচনের আগে, আমাদের দলের অনেকেই অতীতে এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। স্থানীয় সংগঠন নিয়ে যে প্রশ্নগুলো তিনি তুলেছেন, সে অধিকার সবারই আছে। তিনি সেই অধিকার বলেই প্রশ্নগুলো তুলেছেন। এগুলো অবশ্যই দলীয় ফোরামে আলোচনা হবে।’

ওবায়দুল কাদেরের ভাই আবদুল কাদের মির্জা বৃহত্তর নোয়াখালী এলাকায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস লালন, দুর্নীতির যে অভিযোগ তুলেছেন, তা নিয়ে দলের শীর্ষ পর্যায়ে আলোচনা হবে। জানিয়েছেন, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

দ্বিতীয় ধাপের পৌর নির্বাচনে মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসা বসুরহাটে ভোট করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ভাই। ভোটের প্রচার চলাকালে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে নামার পাশাপাশি নানা বক্তব্য দিয়ে তিনি তুমুল আলোচিত হন।

শনিবারের বিতর্কহীন ভোটে বিপুল ভোট পেয়ে চতুর্থবারের মতো মেয়র পদে জয় পান কাদের মির্জা। ভোট গণনায় দেখা যায়, প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর সম্মিলিত ভোটের চেয়ে নৌকায় ভোট পড়েছে প্রায় সাড়ে তিন গুণ।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতার বাইরে গিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীও এই নির্বাচনের প্রশংসা করেছন। বলেছেন ভোট ভালো হয়েছে। মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পেরেছে।

ভোটের দুই দিন পর সোমবার তথ্যমন্ত্রী কথা বলেন সচিবালয়ে। কাদের মির্জার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘তাকে নিয়ে তো গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত দেখা গেছে আব্দুল কাদের মির্জা বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন। এ জন্য আব্দুল কাদের মির্জা অবশ্যই অভিনন্দন পাওয়ার যোগ্য।’

ভোটের প্রচারে আবদুল কাদের মির্জা কথা বলেছেন দুর্নীতি নিয়ে প্রশাসনের অব্যবস্থাপনা নিয়ে

কাদের মির্জা প্রথম আলোচনায় আসেন গত ১০ জানুয়ারি। তিনি সেদিন বলেন, সুষ্ঠু ভোট হলে বৃহত্তর নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের মধ্যে তিন/চারজন ছাড়া কেই ঘর থেকে বের হতে পারবেন না।

তিনি এও বলেছেন যে, তার এলাকার আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা সন্ত্রাসীদের মদদ দেন। ছোট পদে নিয়োগের জন্যও ঘুষ নেন।

সমালোচনা থেকে বাদ পড়েননি খোদ ওবায়দুল কাদের। নিজের ভাইকে সতর্ক করে কাদের মির্জা বলেন, পরিস্থিতি না পাল্টালে আগামী জাতীয় নির্বাচনে জিততে পারবেন না ওবায়দুল কাদেরও।

কাদের মির্জা নিজের দলের নেতাদের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগও আনেন। বলেন, ‘আমাদের পাতি নেতারা পর্যন্ত আমেরিকায় গিয়ে গাড়ি কিনেছে, বাড়ি করেছে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি যে বক্তব্যগুলো দিয়েছেন নির্বাচনের আগে, আমাদের দলের অনেকেই অতীতে এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। স্থানীয় সংগঠন নিয়ে যে প্রশ্নগুলো তিনি তুলেছেন, সে অধিকার সবারই আছে। তিনি সেই অধিকার বলেই প্রশ্নগুলো তুলেছেন। এগুলো অবশ্যই দলীয় ফোরামে আলোচনা হবে।’

সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে গত ১০ জানুয়ারি রাজপথে অবস্থান নিয়ে প্রথম আলোচনায় আসেন কাদের মির্জা

৬০টি পৌরসভার মধ্যে ৪৫টিতে মেয়র পদে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। বিএনপি জিতেছে চারটি পৌরসভায়।

দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়াই করে জিতেছেন আট জন প্রার্থী। এদের ছয় জন আওয়ামী লীগ নেতা। দুই জন বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত। একটি পৌরসভাতে করে জিতেছে জাতীয় পার্টি ও জাসদ। আর একটিতে ফলাফল স্থগিত হয়ে আছে।

কিন্তু আওয়ামী লীগের জন্য লজ্জা হয়ে দাঁড়িয়েছে হবিগঞ্জের মাধবপুর পৌরসভা। সেখানে গোহারা হেরেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শ্রীধাম দাশগুপ্ত। মাত্র ৫৬৮ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘হবিগঞ্জের মাধবপুর নিয়ে আমার স্পেসিফিক ধারণা নেই, খবর নিয়ে বলতে হবে। সেখানে নিশ্চয়ই অন্য প্রার্থীদের পক্ষে আওয়ামী লীগের দলীয় নেতৃবৃন্দ কাজ করেছে, কেন করেছে সেটি নিশ্চয়ই অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর