বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘বিএনপির কাউন্সিলরের মৃত্যু নির্বাচনের কলঙ্ক’

  •    
  • ১৭ জানুয়ারি, ২০২১ ১৭:২৩

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘দেশে এখন আইন-কানুনের কোনো বালাই নেই। সকল অবিচার-অনাচার আড়াল করতেই দেশব্যাপী দুষ্কৃতিকারীরা সরকারের প্রশ্রয়ে রক্তাক্ত কর্মসূচির ধারা অব্যাহত রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় মৃত্যুপথের যাত্রী হতে হলো তারিকুল ইসলামকে।’

সিরাজগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর পদে জয়ী তারিকুল ইসলামের হত্যাকে নির্বাচনের কলঙ্ক বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ফখরুল বলেন, ‘দেশে এখন আইন-কানুনের কোনো বালাই নেই। সকল অবিচার-অনাচার আড়াল করতেই দেশব্যাপী দুষ্কৃতিকারীরা সরকারের প্রশ্রয়ে রক্তাক্ত কর্মসূচির ধারা অব্যাহত রেখেছে।

‘এরই ধারাবাহিকতায় মৃত্যুপথের যাত্রী হতে হলো তারিকুল ইসলামকে। তার ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়ে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনা নিঃসন্দেহে বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিরুদ্ধে আরেকটি কলঙ্কিত অধ্যায়।’

পৌরসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে শনিবার ৬০ পৌরসভার মধ্যে ৪৫টিতে মেয়র পদে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। বিএনপি জিতেছে চারটি পৌরসভায়।

দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়াই করে জিতেছেন আট জন প্রার্থী। এদের ছয় জন আওয়ামী লীগ নেতা। দুই জন বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত।

একটি করে পৌরসভাতে জিতেছে জাতীয় পার্টি ও জাসদ। আর একটিতে ফলাফল স্থগিত হয়ে আছে।

নির্বাচনের দিন খুব বেশি সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। যে কয়টি সহিংসতা হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে আলোচনায় এসেছে সিরাজগঞ্জ শহরে নতুন ভাঙ্গাবাড়ী ৬ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে বিজয়ী তরিকুল ইসলামকে হত্যার ঘটনাটি। ফল ঘোষণার পর পরই প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন বিএনপি সমর্থিত এই প্রার্থী।

ফখরুল বলেন, ‘তারিকুল ইসলাম এর ওপর আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নৃশংস ও পৈশাচিক হামলা এবং তাকে হত্যার ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো, সরকার রক্ত ঝরিয়ে নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চায়।’

‘সুষ্ঠু নির্বাচন, পরমত সহিষ্ণুতা, বিবেক, সহমর্মিতা ও দয়া-মায়ার লেশমাত্র আওয়ামী লীগের বিধানে নেই। দেশে যে খুনকারবারির মহৌৎসব চলছে, তাতে রাষ্ট্র এক অমানবিক চেহারার রূপ লাভ করেছে। সহিংস সন্ত্রাসই হচ্ছে এদের রাজনৈতিক আদর্শ। সেজন্যই বিরোধী দল ও মতকে দমন করে যাচ্ছে রক্তাক্ত কায়দায়।’

ফখরুলের মতে, বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশ সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে।

ফখরুলে দাবি, শুধু রাজনৈতিক বিরোধী পক্ষই নয়, বিবেকবান নাগরিক সমাজ ও বুদ্ধিজীবী যারা সত্য কথা বলছেন তারাও শাসকগোষ্ঠীর নির্মম নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘হত্যা, বিচার বহির্ভূত হত্যাসহ সন্ত্রাসের এক অভয়ারণ্যের নাম বাংলাদেশ।’

ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান সরকার দেশকে এক মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত করেছে। ন্যায়বিচার দেশ থেকে তিরোহিত হয়ে গেছে বলেই নিরন্তরভাবে বিরোধী পক্ষকে হত্যা করার পর বিচার না হওয়ায় হত্যাকারীরা উৎসাহিত হচ্ছে।’

বিএনপির এই নেতার মতে, দুষ্কৃতিকারীরা যেই হোক তাদেরকে আইনের আওতায় এনে যদি শাস্তি দেয়া হতো তাহলে তারিকুল ইসলামকে জীবন দিতে হতো না।

তারিকুল ইসলামকে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান ফখরুল।

এ বিভাগের আরো খবর