নোয়াখালীতে করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনের ঘোষণা দিয়েছে দলটি।
আগামী বুধবার দেশের জেলা ও মহানগরে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।
গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে রোববার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
সাত বছর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটূক্তির অভিযোগে নোয়াখালীতে তারেকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়। গত ৭ জানুয়ারি ওই মামলায় বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। পাশাপাশি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে গ্রেপ্তারের নির্দেশও দেন নোয়াখালীর জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২-এর বিচারক সৈয়দ ফখরুল আবেদিন।
সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, ‘সরকার বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করার হীন প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ভুয়া-বানোয়াট ও মিথ্যা রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় তারেক রহমানের অনুপস্থিতিতে চার্জ গঠন ও ওয়ারেন্ট জারি আইনের পরিপন্থি। এটা দখলদার সরকারের বাকশালী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ।
‘এই হীন অপচেষ্টা, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানার প্রতিবাদে ১৩ জানুয়ারি বুধবার জেলা ও মহানগর পর্যায়ে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে।’
ফখরুল জানান, শনিবার তারেক রহমানের সভাপতিত্বে জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে ‘মিথ্যা’, ‘ভিত্তিহীন’ মামলার নিন্দা ও ক্ষোভ জানানো হয়।
ভার্চুয়াল বৈঠকে মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু অংশ নেন।
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি সেনা-সমর্থিত সরকার গঠনের নিন্দা জানানো হয়। সভায় দিনটি স্মরণে সোমবার ভার্চুয়াল আলোচনা সভার সিদ্ধান্ত হয়।
১৯ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৫তম জন্মদিন পালন করার সিদ্ধান্তও আসে সভা থেকে।
সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।