বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এরশাদ পতনের পর স্বৈরাচার: জি এম কাদের

  •    
  • ৯ জানুয়ারি, ২০২১ ২১:০২

‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক বলে ১৯৯১ সালে এরশাদ সাহেবকে সরানো হয়েছে। কিন্তু দেশে গণতন্ত্র মুক্তি পায় নাই এবং স্বৈরতন্ত্র মুক্তি পেয়েছে। যার ফলে দুঃশাসন ও দুর্নীতি। সাধারণ মানুষ খেতে পায় না, আর এক শ্রেণির মানুষ হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে।’ 

সেনা শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতনের পর দেশে স্বৈরতন্ত্র তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতির ভাই জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক বলে ১৯৯১ সালে এরশাদ সাহেবকে সরানো হয়েছে। কিন্তু দেশে গণতন্ত্র মুক্তি পায় নাই এবং স্বৈরতন্ত্র মুক্তি পেয়েছে। যার ফলে দুঃশাসন ও দুর্নীতি। সাধারণ মানুষ খেতে পায় না, আর এক শ্রেণির মানুষ হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে।’

শনিবার রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ঢাকা মহানগর শাখার প্রয়াত দুই নেতার স্মরণ সভায় এমন দাবি করেন এরশাদের ভাই।

১৯৮২ সালে এরশাদ সেনাপ্রধান থাকার সময় নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি এম এ সাত্তারকে হটিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন। সে সময় তিনি নির্বাচন দেয়ার অঙ্গীকার করলেও পরে তার উত্তরসূরীর জিয়াউর রহমানের মতোই দল গঠন করে নির্বাচনে যান এবং প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচিত হন।

১৯৯০ সালের ডিসেম্বরে গণ আন্দোলনের মুখে এরশাদ ক্ষমতা থেকে সরে যেতে বাধ্য হন।

এরশাদের মৃত্যুর পর তার ভাই জি এম কাদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হন। তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক বলে দেশে একনায়কন্ত্র সৃষ্টি করা হয়েছে। এ কারণেই দেশে দুর্নীতি, সুশাসনের অভাব।

‘যার ফলেই আজকে আঙুল ফুলে কলাগাছ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা। তাদের সম্পদের হিসাব নাই। তাদের সম্পদ এত বেশি যে তা দেশে রাখার উপায় নাই। দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে।’

জি এম কাদের বলেন, ‘এরশাদ সাহেব গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে কাজ করেছিলেন বলে অপবাদ দেয়া হয়। কিন্তু ৯১ সালের পরে দেশে যে সংসদীয় গণতন্ত্র বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ মিলে এনেছে, তখন সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে দেশে সংসদীয় একনায়কতন্ত্র বা স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছিল।’

‘এই স্বৈরতন্ত্র কায়েম করার কারণে যেহেতু স্বৈরতন্ত্রে কোনো জবাবদিহিতা থাকে না, তারা লুটপাটে ব্যস্ত হতে পারে, পার পেতে পারে। যার ফলে ৯১ সালের পর দেশে দুর্নীতিতে পর পর চার বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।’

এরশাদের ভাই বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থায় ক্ষমতার ভারসাম্য ছিল। সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় সেটি নেই।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্য জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, ‘গণতন্ত্র তো দূরের কথা আমরা সভ্য সমাজেও নেই। …দেশে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কেউ তার হৃদয়ের কথা বলতে পারছে না।’

জাতীয় পার্টির অবিভক্ত ঢাকা মহানগর শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু মোতাহের মুকু ও দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সিনিয়র সহ-সভাপতি মীর আজগর আলীর স্মরণে ওই সভার আয়োজন করা হয়।

দলের কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এতে সভাপতিত্ব করেন।

এ বিভাগের আরো খবর