তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে নড়াইল পৌরসভার মেয়র পদে আওয়ামী লীগের হয়ে লড়ছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেত্রী আনজুমান আরা। নড়াইলে মেয়র পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রথম নারী তিনি।
মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে দিন-রাত তিনি চষে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনি এলাকা। ভোটারদের কাছে গিয়ে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।
নিউজবাংলাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘জীবন-যৌবন দিয়েছি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে। জেলার নেতাদের প্রচেষ্টায় বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতীক উপহার দিয়েছেন। ভোটারদের আশীর্বাদে আমি নেত্রীর সম্মান অক্ষুণ্ন রাখতে চাই।’
রাজনৈতিক জীবন নিয়ে তিনি জানান, ৪২ বছর ধরে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। শুরু হয়েছিল ১৯৭৮ সালে খুলনা বিএল কলেজ ছাত্রলীগ থেকে।
১৯৮১ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিদ্দিক আহম্মদের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। গত বছর ১৬ আগস্ট করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান ছিদ্দিক।
আনজুমান নড়াইল পৌর এলাকার মাছিমদিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবেও কাজ করেছেন। এর পর চাকরি ছেড়ে ২০১৫ সালে পৌরসভার মেয়র পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন চেয়েছিলেন তিনি। সেই বার বিফল হন। তবে এবার দলের নেতাকর্মীদের আস্থায় নৌকার মনোনয়ন পেলেন আনজুমান।
আনজুমানের প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি জুলফিকার আলী। দুই জনের বাসা পাশাপাশি।
জুলফিকার ২০১১ সালে আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন বিশ্বাসকে পরাজিত করে তিনি মেয়র হয়েছিলেন। তবে ২০১৫ সালে তার কাছেই পরাজিত হন জুলফিকার।
নিউজবাংলাকে জুলফিকার জানান, জাসদ ছাত্রলীগের মাধ্যমে ১৯৭৭ সালে রাজনীতিতে পা রাখেন তিনি। ১৯৯১ সালে বন্ধু গৌতম মিত্রের হাত ধরে যুক্ত হন বিএনপির সঙ্গে।
প্রচারকাজের বিষয়ে তিনি জানান, নেতা-কর্মীরা গণসংযোগে যেতে ভয় পাচ্ছেন।
‘আমার দলের লোকজন বিভিন্ন মামলায় জর্জরিত। গণসংযোগে তাদের কাছে পাচ্ছি না। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নিজেকেই পাড়া-মহল্লায় ভোট চেয়ে বেড়াতে হচ্ছে।’
নির্বাচনি পরিবেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে নড়াইলে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে না। কোনো ভোটকাটা বা কারচুপি হবে না। তবে শুনেছি অনেক কেন্দ্রে আমার কোনো এজেন্টকে ঢুকতে দেয়া হবে না। যদিও এই কথার সত্যতা পাইনি।’
জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, পৌর নির্বাচনের জন্য ১০ জানুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহার, ১১ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দ ও ৩০ জানুয়ারি ভোট হবে।