পৌরসভা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের পাশাপাশি তাদের মদদ দেয়া কেন্দ্রীয় নেতাদেরও সতর্ক করেছেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যারা দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থীদের পাশে থাকবে, শাস্তি পেতে হবে তাদেরও।’
গত ২৮ ডিসেম্বর পৌরসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপে যে ২৪টি এলাকায় ভোট হয়েছে, তার মধ্যে আওয়ামী লীগ হেরেছে পাঁচটিতে। এর মধ্যে একটিতে জয় পেয়েছে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী। দুটিতে দলের প্রার্থী হেরেছেন দলের বিদ্রোহী নেতাদের কারণে, যার একটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ।
দ্বিতীয় ধাপে আগামী ১৬ জানুয়ারি যে ৬১ পৌরসভায় ভোট হবে, তার অনেকগুলোতেও নৌকা মার্কার প্রার্থীকে না মেনে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন ক্ষমতাসীন দলের বহু নেতা।
মনোনয়নের আগে ক্ষমতাসীন দল বারবার বলে আসছিল, যাকে প্রতীক দেয়া হবে, মেনে নিতে হবে। কেউ বিদ্রোহী হলে ভবিষ্যতে মনোনয়ন পাবেন না।
এই ধরনের হুমকি আগেও এসেছে, কিন্তু কখনও চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। আর এবারও বিদ্রোহীরা তা পাত্তা দিচ্ছেন না, এটি স্পষ্ট।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় নিজ বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
বলেন, ‘কোনো কোনো দলীয় দায়িত্বশীল নেতা ও জনপ্রতিনিধি দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের মদদ দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তারা এসব কার্যকলাপ থেকে বিরত না থাকলে সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বিদ্রোহী প্রার্থীরা ভবিষ্যতে কখনোই আর দলের মনোনয়ন পাবে না বলে আবারও সতর্ক করেন ক্ষমতাসীন দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা।
আওয়ামী লীগের মতো দলে একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকবে, এটা স্বাভাবিক উল্লেখ করে কাদের বলেন, যারা মনোনয়ন পাবে না, তাদেরকে অন্যভাবে মূল্যায়নের সুযোগ রয়েছে।
‘সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তৃণমূল নেতাদের মতামত, সংশ্লিষ্ট জেলা, উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের সুপারিশ, সরকারি-বেসরকারি ও দলীয় সার্ভে রিপোর্টের পাশাপাশি প্রার্থীদের যোগ্যতা, ত্যাগ ও জনপ্রিয়তা বিবেচনা করে দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়’- দলের মনোনয়ন প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করে বলেন আওয়ামী লীগ নেতা।