বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রচারে সরব আ. লীগ, মামলা জটিলতায় মাঠে নেই বিএনপি

  •    
  • ৬ জানুয়ারি, ২০২১ ১৭:৫১

বিএনপির প্রার্থী বলেন, ‘হামলা-মামলায় বিএনপি ভয় পায় না। এসব নিয়েই নির্বাচনে আমরা লড়ে যাব।’

মাগুরা সদর পৌরসভার মেয়র পদের জন্য ভোটের মাঠে দৌড়ঝাঁপে ব্যস্ত বর্তমান মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খুরশীদ হায়দার টুটুল। করছেন পথসভা, চালাচ্ছেন গণসংযোগ।

তবে মাঠে নেই বিএনপি প্রার্থী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইকবাল আখতার খান কাফুর ও তার নেতাকর্মীরা। শহরে ধানের শীষের কিছু পোস্টার থাকলেও তা পড়ে আছে লোকচক্ষুর অন্তরালে।

নিউজবাংলাকে বিএনপি প্রার্থী ইকবাল জানালেন এই নীরবতার কারণ। তার অভিযোগ, যে নেতাকর্মীদের সামনে থেকে প্রচারে অংশ নেয়ার কথা তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দেয়া হয়েছে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে সরকারি দল থেকে এই মামলা করা হয়।

তিনি বলেন, ‘পৌর নিবার্চনে যেন আমরা পিছিয়ে থাকি এমন হীন উদ্দেশ্যে নিয়ে তারা এটি করেছেন।’

ইকবাল অভিযোগ করেন, পৌর এলাকার নেতাকর্মীদের নামে একাধিক মামলা। আদালত থেকে জামিনে থাকলেও তাদের আশঙ্কা, মাঠে নামলেই ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় সরকারদলীয়রা ফাঁসাতে পারে।

তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে পৌর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আমাদের দলীয় কমিশনার প্রার্থীর ওপর হামলা করেছে সরকারদলীয় কমিশনার প্রার্থীর লোকজন।’

এসব কারণে নেতাকর্মীরা মাঠে এতটা সরব নয় বলে দাবি করেন ইকবাল।

‘হামলা-মামলায় বিএনপি ভয় পায় না। এসব নিয়েই নির্বাচনে আমরা লড়ে যাব। প্রতিকূল পরিবেশে আমরা নির্বাচনি প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি। ঘটা করে করছি না বলে দেখা যাচ্ছে না।’

নিবার্চন সুষ্ঠু হলে বিএনপি বিপুল ভোটে জয়ী হবে বলে দাবি করেন ইকবাল।

পৌরসভাজুড়ে ছেয়ে আছে আ. লীগ প্রার্থীর পোস্টার। ছবি: নিউজবাংলা

মাঠে বিএনপির এই নীরবতার সুযোগে জোরেশোরে প্রচারে নেমেছেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পৌর এলাকায় প্রতিটি ওয়ার্ডে পথসভা ও মাইকিং করে প্রার্থীর জন্য ভোট চাইছেন তারা।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী খুরশীদ হায়দার টুটুল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত পাঁচ বছর ধরে মাগুরা পৌর এলাকাকে উন্নত করার চেষ্টা করেছি। মানুষের মাঝে ভেদাভেদ করিনি।

‘দল-মত নির্বিশেষে সবাই যেন সমান সুযোগ-সুবিধা পায় সেই নীতি নিয়ে আমি কাজ করি। এবারও পৌরবাসী আমাকে বিপুল ভোটে মেয়র হিসেবে জয়ী করবেন বলে আমি আশাবাদী।’

বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কোন দল কীভাবে প্রচার করবে তা তাদের বিষয়। সবারই সুযোগ আছে নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে প্রচারের। এতে যদি কেউ নিজেদের সমস্যা আড়াল করে নানা অজুহাত তুলে প্রচার কম করে তবে আমার এবং আমার দলের তো কিছু বলার নেই।’

মাঠে নেই মেয়র পদের আরেক প্রার্থী ইসলামী আন্দোলনের মশিয়ার রহমানও। তবে তিনি বলেন, ‘প্রচার এখনও শুরু করতে পারিনি। পোস্টার এসেছে, শিগগিরই প্রচার শুরু করব।’

কোনো চাপে আছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রচার শুরু করার পর বোঝা যাবে চাপ আসে কি না।’

জেলা নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে মাগুরা পৌরসভায় ভোট হবে আগামী ১৬ জানুয়ারি। ১৯৭২ সালে গঠিত এই পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে ভোটার আছেন ৭৬ হাজার ৮৯৩ জন।

এ বিভাগের আরো খবর