সিরাজগঞ্জের বেলকুচি পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থী আলতাফ হোসেন প্রামাণিককে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ফলে ওই এলাকায় বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ তৈরি হলো।
হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগে তার প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। আর বেলকুচি বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করে, ৩০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছেন তাদের প্রার্থী। তিনি ইচ্ছা করে মনোনয়নপত্রে ভুল করেছেন। তার বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা নেয়া হয়।
আলতাফ সে সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেননি। তবে তিনি আবেদন করেন উচ্চ আদালতে। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ বিএনপি নেতার পক্ষে অদেশ দেয়।
আদালতে আলতাফ হোসেন প্রামাণিকের পক্ষে শুনানি করেন রুহুল কুদ্দুস কাজল, তার সঙ্গে ছিলেন আক্তার রসুল মুরাদ ও নুসরাত ইয়াসমিন।
কাজল জানান, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি পৌরসভার নির্বাচনের জন্য গত ২ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণা হয়। ২০ ডিসেম্বর আলতাফ হোসেন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা সেটি বাতিল করে দেন।
এরপর আলতাফ জেলা প্রশাসক বরাবর আপিল করেন। কিন্তু যথাসময়ে দাখিল না হওয়ায় সেটি গ্রহণ করা হয়নি। এরপর হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
বেলকুচিতে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতারা টাকার বিনিময়ে ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর অভিযোগ আনেন দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে। ছবি: নিউজবাংলা
আগামী ১৬ জানুয়ারি বেলকুচি পৌরসভার নির্বাচনে ভোট হবে।
নিউজবাংলার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি গোলাম মোস্তফা রুবেল জানান, আলতাফ হোসেন তার মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেয়া হলফনামায় তার বিরুদ্ধে নাশকতার মামলার তথ্য গোপন করেছিলেন। এ কারণে তার প্রার্থিতা বাতিল হয়।
সরকারবিরোধী আন্দোলনে নাশকতার ঘটনায় ওই মামলায় আলতাফ জামিনে আছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রার্থিতা বাতিল করলেও এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেননি বিএনপির প্রার্থী।
শনিবার বিষয়টি নিয়ে বেলকুচিতে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপির নেতারা। তাদের অভিযোগ, আলতাফ হোসেন প্রামাণিক ৩০ লাখ টাকা নিয়ে মনোনয়নপত্রে ইচ্ছা করে ভুল করেছেন।
সংবাদ সম্মলনে বক্তব্য রাখেন বেলকুচি উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল ও সাবেক সদস্য সচিব আব্দুল মান্নান সরকার। উপস্থিত ছিলেন বেলকুচি উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করীম, হাফিজুর রহমান, হেলাল উদ্দিন প্রামাণিক, পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন কিবরিয়া, উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোখলেসুর রহমানও।
গত ২ জানুয়ারি আলতাফ হোসেন প্রামাণিক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার একটি মামলার তথ্য ভুলক্রমে উল্লেখ করা ছিল না। আর নানাবিধ চাপ থাকায় আপিল করতে পারি নাই।’
তবে কী সে চাপ, সেটার ব্যাখ্যা দেননি তিনি।