ঋণ খেলাপির দায়ে রাজবাড়ীর পাংশা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওয়াজেদ আলী মণ্ডলের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তবে বৈধ হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়ন।
এই উপজেলায় ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী হিসেবে ভোটে দাঁড়ানো দুই নেতার মনোনয়নও বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
রোববার বেলা ১১টার দিকে পাংশা উপজেলা পরিষদে প্রার্থীতা যাচাই-বাচাই শেষে এ ঘোষণা দেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান।
মাসুদুর রহমান জানান, আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওয়াজেদ আলী মণ্ডল একটি জুটমিলের নামে ইসলামী ব্যাংকের উত্তরা শাখা থেকে ঋণ নিয়ে খেলাপি হয়েছেন। এ জন্য তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী অবশ্য এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। যদিও তিনি তা করবেন কি না, এই বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
ওয়াজেদ আলীর মোবাইল ফোনে একাধিক যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
বাছাইয়ে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়নও বাতিল করা হয়। তারা হলেন দুই নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী আব্দুল মোতালেব ও সাত নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী খন্দকার ফরিদ হোসেন।
আগামী ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় ধাপে পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে পাংশায় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন চার জন।
তাদের মধ্যে বিএনপির প্রার্থী রইস উদ্দিন খান, স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ফজলুল হক ফরহাদ ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রনেতা ইদ্রিস আলী মণ্ডলের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
তিন মেয়র প্রার্থীসহ কাউন্সিলর পদে ৪৪ জন ও সংরক্ষিত মহিলা আসনে ১১ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।
মনোনয়নপত্র বাছাই কার্যক্রমে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মাদ আলী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুজহাত তাসনীম আওন, উপজেলা নির্বাচনি কর্মকর্তা আবদুল আলীম।
গত ২৮ ডিসেম্বর ২৪টি পৌরসভায় প্রথম ধাপে ভোট হয়। আগামী ১৬ জানুয়ারি ৬১ পৌরসভায় দ্বিতীয় ধাপের ভোটকে ঘিরে চলছে প্রচার। এর কোনোটিই আওয়ামী লীগের প্রার্থীশূন্য ছিল না।
তৃতীয় ধাপে ৩০ জানুয়ারি ৬৪টি পৌরসভায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ সবগুলোতে প্রার্থী ঘোষণা করেছে।