আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে বাংলাদেশের ইতিবাচক রাজনীতির প্রতীক উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, এই নেতাকে মনে রাখবে বাংলাদেশ।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে রোববার সৈয়দ আশরাফের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে এক স্মরণ সভায় এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আশরাফের ভূমিকা স্মরণ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নেত্রীকে মুক্ত করার ক্ষেত্রে এবং শেকলবন্দি থাকা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে মুক্ত করার ক্ষেত্রে যে ভূমিকা (সৈয়দ আশরাফ) রেখেছিলেন, তা বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সবসময় মনে রাখবে।’
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সৈয়দ আশরাফ একজন আপাদমস্তক ভদ্রলোক ছিলেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত সজ্জন, মিতভাষী ও প্রচারবিমুখ একজন ব্যক্তি। তাকে কখনও আমি রাগান্বিত হতে দেখি নাই।’
২০০৭ সালে শেখ হাসিনার গ্রেপ্তার হওয়ার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে হাছান মাহমুদ জানান, পূর্বেই তাদের নেত্রীকে গ্রেপ্তারের পটভূমি তৈরি করা হয়েছিল। এতে নিজেদের দলের কিছু নেতা সহায়ক ভূমিকাও রেখেছিল।
‘সে সময় যে কয়েকজন নেতা নেত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।’
আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ছবি: নিউজবাংলা
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দলের ইতিহাসে অনেকেই সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন, অনেকেই পালন করবেন ভবিষ্যতে। কিন্তু আশরাফ ভাইয়ের মতো ভদ্রজন আমাদের দলে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে খুব একটা পাওয়া যায়নি।
‘দলের সাধারণ সম্পাদক সব সময় স্পটলাইটে থাকে। কিন্তু সৈয়দ আশরাফ যখন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি সবসময়ই প্রচারবিমুখ থাকার চেষ্টা করেছেন। তিনি আমাদের মতো প্রতিদিন এত কথা বলতেন না। খুব প্রয়োজন হলে তিনি কথা বলতেন এবং যদি বলতেন খুব গুরুত্বপূর্ণ কথাটাই বলতেন।’
সৈয়দ আশরাফ তার পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলামের মতোই রাজনীতিকে ব্রত হিসেবে নিয়েছিলেন বলে মনে করেন হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘রাজনীতি করে বৃত্তশালী হওয়ার প্রচেষ্টা কখনোই তার মধ্যে ছিল না। নিজের পরবর্তী প্রজন্মকে জোর করে রাজনীতিতে নিয়ে আসার যে চেষ্টা আমরা এখন দেখতে পাই সেটিও সৈয়দ আশরাফের ভেতরে ছিল না। সৈয়দ আশরাফের কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।’