বিএনপির আন্দোলন কোন বছর হবে তা জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শনিবার সকালে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) সঙ্গে ভার্চুয়াল মতবিনিময়ে তিনি বলেন, ‘দেখতে দেখতে সরকারের ১২ বছর চলে গেল, কিন্তু বিএনপির আন্দোলন হবে কোন বছর। জনগণও এখন তাদের আন্দোলনের কথা শুনলে হাসে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম গত ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে দলীয় কর্মসূচিতে নতুন বছরে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করার ঘোষণা দেন।
২০২১ সাল ‘গণতন্ত্রের সরকার প্রতিষ্ঠার’ বছর হবে ঘোষণা দিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, ‘নতুন বছরে আমাদের সংকল্প হচ্ছে শুধু বিএনপি না, সকল রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্রের সরকার প্রতিষ্ঠিত করব।
‘আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র মুখে বলে, কাজ করে উল্টো। তারা স্বৈরতান্ত্রিক পদ্ধতি চায়। আমরা যুদ্ধ করেছি গণতন্ত্রের জন্য। আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব।’
নিজেদের বক্তব্যে অনুযায়ী নতুন বছরে ইতিবাচক রাজনীতিতে আসতে বিএনপি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান কাদের।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নতুন বছরে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন করার ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু গণঅভ্যুত্থানের বস্তুগত দিক এখন দেশে নেই। দেশ ও জনগণের স্বার্থ বিএনপির রাজনৈতিক কৌশলে প্রাধান্য পাচ্ছে না।’
আওয়ামী লীগ নেতা আরও বলেন, ‘নতুন বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে অধিকতর সুগঠিত এবং স্মার্ট একটা দল হিসেবে গড়ে তোলা হবে। দলের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা আরও মজবুত করা হবে।’
নতুন বছরের পরিকল্পনা তুলে ধরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন বছরে সড়ক ও মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের আরও যত্নবান হতে হবে। যাত্রীদের সুরক্ষায় যা যা করার তা করতে হবে।’
‘বিআরটিএতে দালালের দৌরাত্ম দূর করতে হবে। বিআরটিএর কারও কারও দালালদের সাথে যোগসাজশ আছে, তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
এ সময় সড়কে তিন চাকার মটরযান চলাচল বন্ধের পাশাপাশি মটরযান নির্মাণ কারখানাগুলোও বন্ধ করার নির্দেশ দেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী।